Highlights
মৌ-পিয়াসার ফোনে ১৭ জনের গোপন ভিডিও পেয়েছে র্যাব
নিউজ ডেস্ক:
পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার কথিত মডেল ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌয়ের মোবাইল ফোনে একটি ব্যাংকের এমডিসহ ১৭ জনের গোপন ভিডিও দৃশ্য পাওয়া গেছে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর একটি দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানায়, বেসরকারি একটি ব্যাংকের এমডি সম্প্রতি মডেল পিয়াসা ও মৌয়ের চক্করে পড়েন। তার অসতর্ক অবস্থার ছবিকে পুঁজি করে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। এদের চক্কর থেকে বের হতে ওই ব্যাংকের এমডি বিষয়টি একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে জানিয়ে আইনি প্রতিকার চান। শুধু ওই ব্যাংকের এমডি নন, এখন পর্যন্ত পিয়াসা ও মৌয়ের মোবাইল ফোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ১৭টি ভিডিও পাওয়া গেছে। এসব ভিডিওতে কয়েকজন শিল্পপতি-ব্যবসায়ীর বখে যাওয়া সন্তানদের অসতর্ক মুহূর্তের ছবি রয়েছে।
ব্যাংকের এমডির সূত্র ধরে বিত্তশালীদের ফাঁসানোর বিষয় জানার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গভীরভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয় সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও এসব অভিযোগের সত্যতা পায়। পরে সবুজ সংকেত মেলার পর গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেপ্তার তালিকায় আরও ৩৫ থেকে ৪০ জন রয়েছেন। মূলত অসতর্ক মুহূর্তের ছবি ব্যবহার করে ফাঁসানোর এ চক্রটিকে একটি বার্তা দিতে চান সংশ্লিষ্টরা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, অসতর্ক অবস্থায় তোলা ছবি ও ভিডিও পুঁজি করে অনেক বিতর্কিত মডেল ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে মাসোহারা নিতেন। কেউ কেউ দামি গাড়ি নিয়েছেন। অনেককে বিদেশ ভ্রমণের পুরো খরচও দেওয়া হয়। মূলত বিতর্কিত মডেলদের মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসে যাদের অসতর্ক মুহূর্তের ভিডিও রয়েছে, তা জব্দ করা হবে। আরও কয়েকজন মডেল গ্রেপ্তারের তালিকায় রয়েছেন।
গত ১ আগস্ট রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ প্রথমে বারিধারায় পিয়াসার বাসায় অভিযান চালিয়ে মাদকসহ তাকে গ্রেপ্তার করে। এর পর অভিযান চালানো হয় মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে মৌয়ের বাসায়। তার বাসাতেও মাদক পাওয়া যায়। পরে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
পিয়াসা নানা ঘটনায় আলোচনায় ছিলেন। ২০১৭ সালের মে মাসে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় তার নাম সামনে আসে। সর্বশেষ গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়া নামের এক তরুণীর লাশ উদ্ধারে পর যে মামলা হয় তাতেও পিয়াসার নাম ছিল। আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদের সাবেক স্ত্রী পিয়াসা। রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের ওই ঘটনার কিছু দিন আগে সাফাতের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয় বলে জানা গেছে।
গুলশান থানায় পিয়াসার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পিয়াসার বাসা থেকে চারটি কলকি বা হুক্কা, ৭৮০ পিস ইয়াবা, ফ্রিজের ভেতর থেকে সিসা তৈরির সরঞ্জাম, রান্নাঘরের কেবিনেট থেকে বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ করা হয়। তিনি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় বিক্রি করতেন। নিয়মিত মাদক ও গান-নাচের আসর বসাতেন বাসায়।
মোহাম্মদপুরে মৌয়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মৌয়ের বাসা থেকে ৭৫০ পিস ইয়াবা ও ১২ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করতেন এবং লোকজনকে বাসায় এনে আসর বসাতেন। সেই আসরে মাদক বিক্রি করতেন তিনি।
Highlights
ওরা সওমকে ব্যবসার হাতিয়ারে পরিণত করেছে : হেযবুত তওহীদের এমাম
Highlights
দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে জাতীয় ঐক্যের ডাক হেযবুত তওহীদের
Highlights
রাজধানীতে ‘বাংলা ভাষার মান রক্ষায় আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা
-
আন্তর্জাতিক9 years ago
গ্রিস প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা
-
আন্তর্জাতিক9 years ago
যুক্তরাষ্ট্রে দুটি বিমানের সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যু
-
স্বাস্থ্য8 years ago
গলা ব্যথার কারণ ও চিকিৎসা
-
দেশজুড়ে9 years ago
আজ চন্দ্র গ্রহন সন্ধা ৬টা ১২ মিনিট থেকে রাত ৮ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত
-
বিবিধ10 years ago
আর অটো রিক্সা নয় এবার অবিশ্বাস্য কম দামের গাড়ি!
-
জাতীয়8 years ago
আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ
-
জাতীয়9 years ago
স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমি ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা
-
ফিচার9 years ago
বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নামকরণের ইতিহাস