রৌমারীতে ৩০৯ শিক্ষার্থীর জন্য ১ জন শিক্ষক
রৌমারী প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম:
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ইটালুকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্ধারিত শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ৭ জন শিক্ষকের স্থলে মাত্র ১ জন শিক্ষক দিয়ে খুঁড়িয়ে চলছে বিদ্যালয়টি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৬৯ সালে স্থাপিত হয় এ বিদ্যালয়টি। এখানে শিক্ষক ছিলেন ৪ জন। ইতোমধ্যে শাহ জামাল নামের একজন সহকারী শিক্ষক বদলী নিয়ে চলে গেছেন অন্যত্র। অপর শিক্ষক কল্পনা খাতুন পিটিআইতে রয়েছেন। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে সহকারী শিক্ষক রাশেদা বেগম ও প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ থাকলেও প্রধান শিক্ষক অফিসের কাজকর্ম নিয়ে প্রায়শই ব্যস্ত থাকেন। এছাড়াও বিভিন্ন প্রশিক্ষণসহ সপ্তাহের ৫ দিনই তাকে থাকতে হয় বিদ্যালয়ের বাইরে। ফলে ৩০৯ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান দিয়ে আসছেন একজন মহিলা শিক্ষকই। এতে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার মান দিন দিন নিুগামী হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের নিয়ে অভিভাবকরা পড়েছেন বিপাকে।
এদিকে বিদ্যালয়টির ৭টি ক্লাস কক্ষের ২টি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে ৭টি ক্লাসের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গাদাগাদি করে ৫টি কক্ষেই ক্লাস নেয়া হচ্ছে। ৫ম শ্রেণির স্বপ্না খাতুন, সীমা খাতুন, সোহান মিয়া, আশরাফুল ইসলাম, ৩য় শ্রেণির সিয়াম, রেনু খাতুন, লিমন জানায়- ‘অধিকাংশ দিনেই তাদের ক্লাস হয় না। ম্যাডাম দুপুরের পরপরই আমাদের ছুটি দিয়ে দেন।’
বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, বেশির ভাগ সময়ই আমাকে স্কুলের কাগজপত্র নিয়ে অফিসে ও বাইরে থাকতে হয়। ফলে ক্লাস নেয়া আমার পক্ষে সম্ভব হয় না। তারপরও যতদূর পারি চেষ্টা করে যাচ্ছি। এছাড়াও দুটি কক্ষ পরিত্যক্ত ঘোষণা করায় সেখানে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে ভীতির মধ্যে আছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, খুব তাড়াতাড়ি একজন শিক্ষক সেখানে যোগদান করছেন। আর কক্ষের বিষয়টি আমি জানি না। জানালে ব্যবস্থা নেয়া হবে।