লক্ষ্মীপুরের মাথাবিহীন লাশটি ছিলো সিএনজি চালকের
রুবেল হোসেন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: অবশেষে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সুপারী বাগান থেকে মাথাবিহীন গলাকাটা উদ্ধারকৃত লাশের পরিচয় মিলেছ্।ে মাথাবিহীন লাশটি সিএনজি চালক নুর হোসেনের(৩০) বলে দাবী করছে নোয়াখালী জেলার এক পরিবার। আজ রবিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত করার সময় লাশটি নুর হোসেনের বলে সনাক্ত করেন তার স্ত্রী আমেনা বেগম, ফুফাতো ভাই ইব্রাহীম খলিল ও নিহতের পিতা নুর নবীসহ পরিবারের সদস্যরা। নিহত নুর হোসেন নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার ভূঁইয়ার হাট পূর্ব মাইচচরা গ্রামের নুর নবীর ছেলে এবং তিন সন্তানের জনক বলে জানায় তারা।
নিহত নুর হোসেনের স্ত্রী আমেনা বেগম, পিতা নুর নবী, ফুফাতো ভাই ইব্রাহীম খলিলসহ পরিবারের সদস্যরা দাবী করে জানান, গত শুক্রবার অজ্ঞাত কয়েকজন চট্রগ্রামের বাসা থেকে ফোনে নুর হোসেনকে চট্টগ্রামের অলংকার নামে একটি বাসষ্টানে ডেকে নেয় । এর পর থেকে সে নিখোঁজ থাকে। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও নুর হোসেনের সন্ধান মেলেনি। গতকাল শনিবার দুপুরে রায়পুরের হায়দারগঞ্জের চর আবাবিল এলাকায় একটি সুপারী বাগান থেকে মাথাবিহীন লাশ পুলিশে উদ্ধারের খবর বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের খবর পায় তারা। এর পর নুর হোসেনের সন্ধানে পরিবারের লোকজন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে আসে। হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় লাশটি দেখেই তারা লাশটি সিএনজি চালক নুর হোসেনের বলে সনাক্ত করেন। তবে কেন এবং কি কারনে তাকে হত্যা করা হয়েছে এ বিষয়ে পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত করে কিছুই জানাতে পারেনি ।
এ ব্যাপারে রায়পুর হায়দারগঞ্জের পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনর্চাজ (এসআই) রফিকুল ইসলাম বলেন, বিরোধীয় এবং ভাগাভাগির কোন ঘটনা নিয়ে নুর হোসেনকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করতে পারে বলে তার ধারনা।
তবে লক্ষ্মীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার নাসিম মিয়া জানান, এ বিষয়ে এখনি নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছেনা, জোর তদন্ত চলছে। তদন্তের পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।