Connect with us

আন্তর্জাতিক

সোমালিয়ায় হোটেলে জঙ্গি হামলায় নিহত ৯

Avatar photo

Published

on

Somali men watch as fires burn amidst the destruction outside the Sahafi Hotel in Mogadishu, Somalia Sunday, Nov. 1, 2015. A Somali police officer says an explosion followed by heavy gunfire has been heard, thought to have been caused by a suicide car bomb, at the hotel often frequented by Somali government officials and business executives. (AP Photo/Farah Abdi Warsameh)

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে একটি হোটেলে জঙ্গিদের হামলায় কমপক্ষে নয়জন নিহত হয়েছে। জঙ্গি গোষ্ঠী আল-শাবাব এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। কঠোর নিরাপত্তা বেস্টিত সোমালি ইয়ুথ লীগ(এসওয়াইএল) নামের হোটেলে প্রবেশের আগে এর বাইরে হামলাকারীরা একটি গাড়ি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
পিস গার্ডেন নামে পরিচিত একটি জনপ্রিয় পার্ক লক্ষ্য করেও হামলা চালানো হয়। পুলিশ জানায়, তারা এ হামলার ঘটনায় চারজনকে গুলি করে হত্যা করেছে। এর মধ্যদিয়ে ওই হামলার ঘটনার অবসান ঘটানো হয়। আল-কায়েদার শাখা আল-শাবাব হচ্ছে সোমালিয়ার একটি সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠন। খবরে বলা হয়, শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে বিকট শব্দ শোনা যাওয়ার পর বন্দুক যুদ্ধ শুরু হয়।
খবরে আরো বলা হয়, প্রথম গাড়ি বোমার বিস্ফোরণের প্রায় ৪০ মিনিট পর একই মাত্রার আরেকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। আল-শাবাব সংবাদ মাধ্যমকে জানায়, হোটেলটি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা জানায়, ‘আমরা এসওয়াইএল হোটেলে হামলা চালিয়ে এতে জোরপূর্বক ঢুকে পড়ি।’
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের কাছে অবস্থিত হোটেলটি সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে অনেক জনপ্রিয়। পিস গার্ডেনের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ হামলার সময় পার্কে অনেক লোক অবস্থান করছিল। মোগাদিসুতে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে মর্টার হামলা চালানোর একদিন পর এ হামলা চালানো হলো।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের একদিন পরই অব্যহতি পেল হিজবুত তওহীদ ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের সদস্যরা

Avatar photo

Published

on

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে হিজবুত তওহীদ ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত ধর্মান্ধতা, উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সভায় হামলা চালিয়েছে ইসলামী মৌলবাদীরা। এছাড়াও সভার আয়োজনকারীদের বাড়ি বাড়ি গিয়েও হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে মৌলবাদী গোষ্ঠীটি। ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে কয়েকটি বাড়িতে। গত ২৯ জুলাই, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরা বাজার থানার বৃন্দাবন গ্রামে বেলা ১টার দিকে হিজবুত তওহীদ ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের সদস্যদের উপর এ হামলা চালায় স্থানীয় মৌলবাদী গোষ্ঠী।

জানা যায়, এ ঘটনার পর উগ্রবাদী গোষ্ঠীর দেওয়া মিথ্যা তথ্যে অন্যায়ভাবে হেযবুত তওহীদের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করে মন্দিরা বাজার থানা পুলিশ। পরে তাদের ওই দিনই কোর্টে চালান করা হয়। এদিকে ঘটনার একদিন বাদেই কোর্টের নির্দেশে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছে হিজবুত তওহীদ ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।

উল্লেখ্য বাংলাদেশ ভিত্তিক অরাজনৈতিক ধর্মীয় আন্দোলন হিজবুত তওহীদ ভারতীয় অংশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে হিজবুত তওহীদ ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন নামে। ফাউন্ডেশনটির সদস্যরা কিছুদিন ধরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ধর্মান্ধতা, উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে প্রকৃত ইসলাম প্রচারে কাজ করছে। এই ফাউন্ডেশনটি পশ্চিমবঙ্গের সরকার অধিকারকের পক্ষ থেকে অনুমোদিত হয়ে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।

প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ জুলাই বৃন্দাবন গ্রামে হিজবুত তওহীদ ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ধর্মান্ধতা, উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। মতবিনিময় সভা আয়োজনের পূর্ব থেকেই এক শ্রেণির উগ্রবাদী গোষ্ঠী মন্দিরা বাজারে হামলার হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। ঘটনার দিন ১১টার দিকে বৃন্দাবন গ্রামের নজরুল ইসলাম পাইকের ছেলে আলি হায়দার পাইককে মারধর করে। পরে তারা তাদের বাড়িতে এসে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় উগ্রবাদীরা হিজবুত তওহীদ ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের সদস্য বৃন্দাবন গ্রামের মৃত হারুন মল্লিকের ছেলে আবুল খায়ের মল্লিক, মৃত ওসীমুদ্দীন মল্লিকের ছেলে জয়নাল আবেদীন মল্লিক, ইমরান মল্লিকের ছেলে আব্দুল মালেক মল্লিক ও রাইহান মল্লিককেও মারধর করে এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে অন্যায়ভাবে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

হামলায় অংশগ্রহণকারীরা হলেন- মন্দিরা বাজার থানার অচিনা গ্রামের মৃত আমির আলী মোল্লার ছেলে মাওলানা কিবরিয়া মোল্লা, পূর্ব নিলামবরপুর গ্রামের মাওলানা কুতুব উদ্দিন, নীলাম্বরপুর গ্রামের আব্দুর রহিম, পূর্ব নীলাম্বরপুর গ্রামের মাওলানা আকরাম শেখ, বৃন্দাবনপুর গ্রামের মফিজ উদ্দিন আহমেদের ছেলে হাফেজ কামরুদ্দিন আহমেদ, মৃত ইজ্জত মল্লিকের ছেলে মাওলানা আব্দুস সালাম মল্লিক, রায়পুর থানার কুলপি গ্রামের হাফেজ আব্দুল গফফার।

ভুক্তভোগীরা জানান, মাওলানা কিবরিয়া মোল্লা গংরা হিজবুত তওহীদ সদস্যদের বাড়িতে হামলা করে একটি ঘর মাটির সাথে মিশিয়ে দেয় ও ভাঙচুর করে। হামলার সময় তাদের হাতে ছিল রড, লাঠি, এবং অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র। তারা আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরা বাজার এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে প্রকৃত ইসলাম প্রচারে কাজ করে যাচ্ছে হিজবুত তওহীদ ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন। এরই প্রেক্ষিতে এক শ্রেণির ধর্মব্যবসায়ী উগ্রবাদী গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করে আসছিল। তারা হিজবুত তওহীদ ফাউন্ডেশনের সদস্যদের বিভিন্নভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করেছে। সর্বশেষ গত ২৯ তারিখ আয়োজিত মতবিনিময় এবং আলোচনা সভাকে বানচাল করার জন্য তারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। বৃন্দাবন এলাকার প্রোগ্রাম সম্পর্কে আগে থেকেই মন্দিরা বাজার থানা পুলিশকে মৌখিক ও লিখিতভাবে অবহিত করা হয়। থানা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ক্রমেই সেখানে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল বলেও জানান হিজবুত তওহীদ ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ।

Source : ধর্মান্ধতা-উগ্রবাদ-জঙ্গিবাদ বিরোধী সভায় মৌলবাদীদের হানা । আয়োজকদের বাড়ি বাড়ি হামলা

Continue Reading

Highlights

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার হামলা, নিহত ৮

Avatar photo

Published

on

পূর্ব ইউক্রেনের শহর স্লোভিয়ানস্কে শুক্রবার ফ্ল্যাটের একটি ব্লকে রাশিয়ার গোলাবর্ষণে শিশুসহ ৮ জন নিহত হয়েছে। শিশুটিকে ধ্বংসস্তুপ থেকে বের করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় অ্যাম্বুলেন্সে মারা যায়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নাগরিকদের সেনাবাহিনীতে সংগঠিত করা সহজ করতে এবং তাদের দেশ থেকে পালাতে বাধা দেওয়ার জন্য একটি খসড়া বিলে স্বাক্ষর করার মধ্যেইপ্রতিবেশীদের ওপর এই হামলা চালালো।

রাশিয়া আরও বলেছে, তারা স্লোভিয়ানস্কের ৪৫ কিলোমিটার (২৭ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে বাখমুতের ভয়াবহ যুদ্ধের হটস্পট আরও ঠেলে দিচ্ছে, কিয়েভ যদি দীর্ঘতম এবং রক্তক্ষয়ী বাখমুতের যুদ্ধে হেরে যায় তাহলে সেটি এই বড় শহরটির জন্য ঝুঁকি গুরুতর ঝুঁকি সৃষ্টি হবে। স্লোভিয়ানস্ক দোনেৎস্ক অঞ্চলের একটি অংশে অবস্থিত যা ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণাধীন।

অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ে রাশিয়ান হামলার পর দোনেৎস্ক অঞ্চলের গভর্নর পাভলো কিরিলেনকো ইউক্রেনের টেলিভিশনে বলেছেন, হামলায় ‘২১ জন আহত হয়েছে এবং আটজন মারা গেছে।’

তিনি বলেন, নিহতদের মধ্যে একটি ছেলে শিশু রয়েছে। এএফপি সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল থেকে বলেছেন, উদ্ধারকর্মীরা সাধারণ সোভিয়েত যুগের হাউজিং ব্লকের উপরের তলায় বেঁচে যাওয়া লোকদের উদ্ধার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এবং সেখান থেকে আগুনের কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে।

ইউক্রেনীয় পুলিশ টুইটারে জানিয়েছে, ‘ধ্বংসস্তুপ থেকে বের করে আনার পর একটি অ্যাম্বুলেন্সে এক শিশু মারা গেছে।’ ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি ওলেনা জেলেনস্কা এই ‘অবর্ণনীয় শোকের’ সময় শিশুটির পরিবারের প্রতি তার সমবেদনা পাঠিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এর আগে আবাসিক ভবনে ‘নৃশংসভাবে গোলাবর্ষণ’ এবং ‘দিবালোকে মানুষ হত্যার’ জন্য রাশিয়ার নিন্দা করেছেন।

Continue Reading

Highlights

মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করে পুরস্কার পেলেন রাশিয়ান পাইলটরা

Avatar photo

Published

on

কৃষ্ণ সাগরে মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করা ফাইটার পাইলটদের পুরস্কৃত করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু দুটি রাশিয়ান এসইউ-২৭ যুদ্ধবিমানের পাইলটদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) একটি রাশিয়ান এসইউ-২৭ যুদ্ধবিমানের সঙ্গে সংঘর্ষের পর মার্কিন এমকিউ-৯ রিপার ড্রোনটি কৃষ্ণ সাগরে বিধ্বস্ত হয়।

মার্কিন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ড্রোনটি আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় একটি রুটিন মিশনে ছিল। রাশিয়ার দুটি যুদ্ধবিমান তা আটকানোর চেষ্টা করে। রাশিয়ার একটি যুদ্ধবিমানের আঘাতে ড্রোনটি অকেজো হয়ে পড়ে। পাইলটরা যারা দূর থেকে ড্রোনটি পরিচালনা করেছিল তারা তখন এটিকে কৃষ্ণ সাগরে ফেলে দিতে বাধ্য হয়।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর মঙ্গলবারের সংঘর্ষটি ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে প্রথম সরাসরি সামরিক সংঘর্ষ। যদিও মস্কো মার্কিন ড্রোন ধ্বংস করার দাবি অস্বীকার করেছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কৃষ্ণ সাগরে মার্কিন ড্রোন দেখে তারা ফাইটার জেট পাঠিয়েছিল। তবে ড্রোনের সঙ্গে এর সংঘর্ষ হয়নি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ড্রোনটি বিধ্বস্ত হয়।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, যুদ্ধবিমানের পাইলটদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনার বিষয়ে তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ান যুদ্ধবিমান ও ড্রোনের মধ্যে কোনো সংঘর্ষ হয়নি।

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, মস্কোর স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এমকিউ-রিপার ড্রোনটি প্রবল বেগে চলার সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং পানিতে পড়ে যায়। ড্রোনটি ট্রান্সপন্ডার বন্ধ রেখে উড়ছিল। যা ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে রুশ আকাশসীমায় রাশিয়ার আরোপিত নিষেধাজ্ঞার লঙ্ঘন।

তবে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, রাশিয়ান যুদ্ধবিমান ড্রোনের কাছে এসে এটিকে হয়রানি করে এবং এতে জ্বালানি ছিটিয়ে দেয়। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ধরে এটিকে আটকানোর চেষ্টা করার পর একটি যুদ্ধবিমান দ্বারা ড্রোনটির প্রপেলারটি কেটে যায় এবং এটি সমুদ্রে পড়ে যায়।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) মার্কিন সেনাবাহিনী এই এনকাউন্টারের ৪০ সেকেন্ডের সম্পাদিত ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে। এতে দেখা গেছে, রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ড্রোনের কাছে আসছে। এ সময় এটি ড্রোনটির উপর জ্বালানি ছিটিয়ে দিচ্ছে। এরপর ড্রোনটির প্রপেলার নষ্ট হয়ে যায়। এই ঘটনাকে রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী আচরণের বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন একজন শীর্ষ মার্কিন জেনারেল।

Continue Reading