১৬১ রানে অলআউট মাশরাফিরা; সিরিজ ড্র!
তৃতীয় ম্যাচে ৩১ রানে হারের পর ৪র্থ ও শেষ ম্যাচে সিরিজ জেতার শেষ সুযোগটি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। ৪ উইকেটে ১৮১ রানের জবাবে মাশরাফিরা ১৬১ রানে অলআউট হয়ে ১৮ রানে হারের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে সিরিজ ড্র করে।
২.৪ ওভারে ১৭ রানে ৪ উইকেটের পতন! সে ম্যাচে আর কি বা আশা করা যেতে পারে। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যদি এই হয় বাংলাদেশের টপ অর্ডারের পারফর্মেন্স তাহলে এশিয়া কাপ আর টি২০ বিশ্বকাপ নিয়ে কি আশা করা যেতে পারে। তবে বাংলাদেশ যে কঠিন পরিস্থিতি সামাল দিতে জানে সেটা প্রমান কওে দিলেন অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
১৮১ রানের টার্গেট! বিশাল তো অবশ্যই। কিন্তু ওপেনার তামিম আর সৌম্য সরকারের জুটি ১২ রানে বেশি করতে ব্যর্থ হল। সৌম্য ফিওে গেলেন ১১ রান করে। এরপর যেন হঠাৎ বাংলাদেশ ব্যাটিং লাইনে ভূমিকম্প হল। পর পর চলে গেলেন মহা তারকা বলে খ্যাত তামিম ১ রানে, ওয়ান ডাউনে নামা নতুন তারকা খ্যাতিতে জ্বলতে শুরু করা সাব্বির রহমান ১ রানেই আর বিশ্ব তারকা সাকিব ৪ রান কওে বোল্ড হলেন! ওভার মাত্র শেষ হয়েছে ২.৪ আর রান সংগ্রহ ১৭! ক্রিজে ৪ নম্বরে ব্যাট করতে নামা ইমরুল এক প্রান্দ ধরে ছিলেন। সঙ্গী দিলেন মাহমুদুল্লাহকে।
দলের ৫৩ রানের মাথায় ইমরুল ফিরে গেলেন ১৮ রান করে। মাহদুল্লাহ তখন সঙ্গী খুঁজছেন। পেলেন নতুন তারকা নুরুল হাসানকে। ১৫ রানের বেশি যোগ করতে পারলেন না নুরুল, দলের স্কোর ১১০ রানে ৬ উইকেট। ততোক্ষনে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ফিফটি কওে ফেলেছেন ৫টি চার আর ২টি ছক্কার মার দিয়ে। এবার মাহমুদুল্লার সঙ্গী অধিনায়ক মাশরাফি নিজেই। পেছনে ফেরার উপায় নেই জানা ছিল মাশরাফির। এক পর্যায়ে দরকার ৩৪ বলে ৫৯ রান। কিন্তু ৫৪ রানে মাহমুদুল্লা বোল্ড হলে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ শিবির। মাশরাফির সঙ্গী পেসার আবু হায়দার রনি। স্কোর ৭ উইকেটে ১৩৭ রান, দরকার ২২ বলে ৪৪ রান! দ্বিগুন ফিগার। হাতে তো উইকেটও নেই! আফসোস রয়েই গেল। ১৭.১ ওভারে ১২ বল খেলে ২২ রান করা মাশরাফি ক্যাচ তুলে দিলে বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্নটা স্বপ্নই থেকে যায়। ১৬২ রানে শেষ হল বাংলাদেশের টি২০ সিরিজে শেষ ম্যাচে ব্যাটিং মিশন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট হাতে তুলে নিয়ে জিম্বাবুয়ে আবারও বাংলাদেশের বোলিং লাইনকে তুলধূণ কওে ছেড়েছে। ৪ উইকেটে স্কোর বোর্ডে জমা করেছে ১৮০ রানের বিশাল পাহাড়। ওপেনার সিবান্দা ৩ রান ছাড়া পরের তিন ব্যাটসম্যান মাসাকাদজার ঝড়ের গতি ৫৮ বলে ৮টি চার ও ৫টি ছক্কার মাওে অপরাজিত ৯৩ মুলত বাংলাদেশকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়। সঙ্গে ছিল মুটুম্বানির ৩২ আর ওয়ালার ৩৬ রানের কার্যকরী ইনিংস।
বাংলাদেশের আবু হায়দার রনির ৪ ওভারে ৩৩ রানে ১টি, ৪ ওভারে ৪০ রানে ১টি, ৪ ওভারে ৩২ রানে ১টি ৪ ওভারে ৩৫ রানে ১ উইকেট শিকার বলে দেয় কেউ জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদেও উপর নিয়ন্ত্রন লাগাম টানতে পারেনি।