উগ্র জঙ্গিবাদ দমনে র্যাব কার্যকর ভূমিকা রেখেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উগ্র জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে নিরবচ্ছিন্ন অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে র্যাব। জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা এবং অসংখ্য জঙ্গি সদস্যদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনেছে। এতে এসব সংগঠনের সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙ্গে পড়েছে। আর আমরা জঙ্গি দমনে সফল হয়েছি। জঙ্গি দমনে এ সাফল্য জাতিকে আশান্বিত করেছে। বর্হির্বিশ্বেও দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে, বলেন শেখ হাসিনা।
অপহরণ ও মুক্তিপন দাবি একটি ঘৃণ্য অপরাধ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, র্যাব এ ঘৃণ্য অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে অনেক অপহৃত শিশু ও ব্যক্তিকে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্টকারী চরমপন্থী এবং বনদস্যু দমনেও সফল ভূমিকা রেখেছে র্যাব। র্যাবের বিভিন্ন অভিযানের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, অসাধু ব্যবসায়ী চক্রের অপতৎপরতা, চোরাচালান, জাল মুদ্রা ও পাসপোর্ট প্রস্তুত এবং অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা রোধে র্যাব ফলপ্রসু অভিযান পরিচালনা করছে। এছাড়া ভেজাল বিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাও জনমনে স্বস্তি দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, র্যাব প্রকৃত অর্থেই এখন এলিট ফোর্স। আমরা এ ফোর্সকে আরও আধুনিক ও সময়োপযোগী করতে যা যা প্রয়োজন তার সবকিছুই করবো। র্যাবের বিভিন্ন সাফল্যের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, র্যাবের কার্যক্রমে অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ এ বাহিনীর নতুন নতুন ব্যাটালিয়ন উদ্বোধন করা হয়েছে। ১১টি র্যাব ব্যাটালিয়নকে স্থায়ী জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গাজীপুরে র্যাবের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জন্যও স্থায়ী জায়গা দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) হাই-টেক যন্ত্রপাতি ও আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, র্যাবের অপারেশনাল শক্তি বৃদ্ধি করতে দুইটি হেলিকপ্টারসহ প্রয়োজনীয় যানবাহন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে হাইটেক যন্ত্রপাতি ও আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করা হয়েছে।