কুড়িগ্রামে স্বামীর দায়ের কোঁপে স্ত্রীর মস্তক বিচ্ছিন্ন
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের উলিপুরে শ্বাশুড়ি-বৌয়ের ঝগড়ার একপর্যায়ে ঘাতক স্বামী ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে স্ত্রীর দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।
রোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে, শনিবার দুপুর ১ টার দিকে উপজেলার ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের মাদারটারী মোক্তারপাড়া গ্রামে। গ্রামবাসি ঘটনার সাথে জড়িত ঘাতক স্বামী শাহীন আলম(২৭)কে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। খবর পেয়ে এলাকার হাজার হাজার মানুষ সেখানে জড়ো হয়। খন্ডিত মৃত দেহ জড়ো করে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রামের মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযোগ রয়েছে, শ্বাশুড়ির সাথে বৃষ্টির ঝগড়া-বিবাদের কারনে জনৈক ডাঃ আব্দুর রশিদ, সাহেব আলী মাষ্টার ও এরশাদুল হক তাকে মেরে ফেলার হুমকী দিত। জানা গেছে, ঐ গ্রামের মৃত সোলায়মানের পূত্র শাহীন আলমের সাথে ৩ বছর আগে ধামশ্রেনী ইউনিয়নের যাদু পোদ্দার গ্রামের বক্কর তালুকদারের ২য় কন্যা বৃষ্টির(২৩) বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসার ভালই চলছিল। তাদের ২ বছরের বায়েজিদ নামের একটি পূত্র সন্তান রয়েছে। স্বামী ঢাকায় চাকুরী করার কারনে প্রায়শই শ্বাশুড়ি ফাতেমা তাকে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করতো। দুপুরে শ্বাশুড়ি ফাতেমা বৃষ্টির সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। এক সময় বৃষ্টির স্বামী শাহীন উঠানের সামনে পুকুর পাড়ে ধারালো দা’ দিয়ে বাঁশের কাজ করছিল। ঝগড়ার এক পর্যায়ে ঘাতক স্বামী তেড়ে গিয়ে বৃষ্টিকে উপর্যুপরি কোঁপাতে থাকে। বৃষ্টি প্রথম কোঁপ বাঁ হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দ্বিতীয় কোঁপে তার মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পুকুরে পড়ে যায়।
উলিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ জমির উদ্দিন জানান, হত্যার প্রকৃত কারন তদন্তে বেরিয়ে আসবে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে।