খুলনায় পেটে বাতাস ঢুকিয়ে শিশু হত্যা
খুলনা নগরীর টুটপাড়া কবর খানা সংলগ্ন শরীফের মোটর গ্যারেজে কাজ নিয়েছিল ছোট্ট রাকিব (১৩)। কিন্তু ভালো সুযোগ-সুবিধা পাওয়ায় সম্প্রতি অন্য একটি গ্যারেজে কাজ নিলে শরীফের রোষানলে পড়ে সে। কর্মস্থল ছেড়ে অন্য স্থানে কাজ করায় তাকে মলদ্বারে কমপ্রেসার মেশিন বসিয়ে পেটে বাতাস ঢুকিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। নির্মম এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে নগরীর টুটপাড়া কবরখানা এলাকায়। সোমবার বিকেলে নির্যাতনের পর রাত ১১ টার দিকে মৃত্যু হয়েছে শিশু শ্রমিক রাকিবের। হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত হলেন রাকিবের কর্মস্থল শরিফ মোটর্স’র মালিক শরিফ ও তার সহযোগী মিন্টু। হত্যাকাণ্ড জানাজানি হওয়ার পর ক্ষুব্ধ এরাকাবাসী শরিফ ও মিন্টু এবং তাদের স্বজনদের পিটুনি দিয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, কর্মস্থল ছেড়ে অন্য গ্যারেজে কাজ করার অপরাধে রাকিবের মলদ্বারে কম্প্রেসার মেশিন দিয়ে তার পেটে হাওয়া ঢুকিয়ে নির্যাতন করেন শরিফ ও মিন্টু। গুরুতর আহত অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানকার চিকিৎসকরা রাকিবকে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেন। ঢাকায় আসার পথে রাত ১১ টার দিকে মারা যায় শিশু রাকিব।
খুলনা থানার এসআই টিপু সুলতান জানান, বিকেল ৫টার দিকে কিশোর রাকিবকে নগরীর টুটপাড়া কবর খানা সংলগ্ন শরীফের মোটরসাইকেল গ্যারেজে নিয়ে মোটরসাইকেলে হাওয়া দেওয়া মেশিন মলদ্বারে ঢুকিয়ে হাওয়া দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে রাকিব মারাত্মক অসুস্থ হলে পড়লে মুমুর্ষূ অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
তার বাবা আলম হাওলাদার জানান, বিকেলে গ্যারেজ মালিক শরিফ ও তার সহযোগী মিন্টু মিলে রাকিবকে ধরে তার মলদ্বারে মোটরসাইকেলের চাকায় হাওয়া দেওয়ার পাইপ (কমপ্রেসার) ঢুকিয়ে দেন। এতে রাকিবের পেট ফুলে গেলে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে নির্যাতনকারী দু‘জনই রাকিবকে খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে এবং তার পরিবারকে খবর দেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, এ হত্যাকাণ্ডে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। তবে, সে দু’জনের পরিচয় তৎক্ষণাৎ জানা যায়নি।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/এ