জাতীয়
জানুয়ারি-জুলাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় সাড়ে ৮শ জনের মৃত্যু
সারাদেশে গত সাত মাসে ( জানুয়ারি-জুলাই) মারা গেছে সাড়ে আটশ মানুষ। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক। এরমধ্যে ঈদের ছুটি ও পরবর্তী কয়েকদিনে মারা গেছে প্রায় শতাধিক মানুষ। এ পরিসংখ্যান হাইওয়ে পুলিশের। তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ সংখ্যা আরো বেশি হবে। কারণ অনেক দুর্ঘটনার তথ্য পুলিশের নথিভুক্ত হয় না ।
পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, মহাসড়কে অধিকাংশ দুর্ঘটনার দায়ী অটোরিকশা, করিমন, নসিমন ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ অযান্ত্রিক যানবাহন। এ কারণে তারা দীর্ঘদিন থেকে এসব যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
প্রাপ্ত্য তথ্য থেকে জানা যায়, সারাদেশের জাতীয় মহাসড়ক রয়েছে ৩ হাজার ৫৮০ কিলোমিটার। আর মহাসড়কের মধ্যে দেশের পাঁচটি জেলায় সবচেয়ে দুর্ঘটনা হয়ে থাকে। এগুলো হচ্ছে- কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ ও ঢাকা। একের পর এক দুর্ঘটনার কারেণ গত বছর হাইকোর্ট দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ১০ জেলার মহাসড়কে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত তিন চাকার বাহন নছিমন, করিমন, ভটভটি না চালানোর নির্দেশ দেয়। পরে সরকারও মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যানবাহন বন্ধে কঠোর হয়। গত কয়েক মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে অটোরিকশা দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়ে গেলে বিষয়টি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ঈদের ছুটির মধ্যে গত ২০ জুলাই রাতে সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় সংযোগ মহাসড়কে বাসচাপায় অটোরিকশার পাঁচ আরোহীর মৃত্যু হয়। গত ১৭ জুলাই মুন্সীগঞ্জে বাস-অটো সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়। আগের দিন কিশোরগঞ্জে ট্রাক্টরের চাপায় প্রাণ হারায় অটোরিকশার তিন যাত্রী; একই দিনে আখাউড়ায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় অটো খালে পড়ে মারা যায় তিনজন। গত ১৫ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঢাকা সিলেট মহাসড়কে পিকআপ ভ্যান ও অটোরিকশার সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/এ