চেক প্রজাতন্ত্রের রেস্তোরায় বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৮
চেক প্রজাতন্ত্রের একটি রেস্তোরায় এক বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছে। পরে আত্মহত্যা করেছে ওই বন্দুকধারী। মঙ্গলবার রাতে রাজধানী প্রাগ থেকে ৩শ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর উহয়েরস্কির দ্রাজবা নামে একটি রেস্তোরায় এ ঘটনা ঘটে। তবে এটি কোন জঙ্গি হামলা নয় বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিলান চোভান্সি। রেস্তোরার মালিক পাভেল কারলিক জানান, হামলাকারী রেস্তোরার ভেতরে প্রবেশ করেই গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। এসময় সেখানে কমপক্ষে ২০ জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘ আমি দ্রুত রেস্তোরার অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যাই এবং পুলিশ ও হাসপাতালে ফোন করি।’ হামলার আগে বন্দুকধারী জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেলকে ফোন করেছিল ঘটনাস্থলে আসার জন্য। প্রিমা টিভি চ্যানেলের আঞ্চলিক সম্প্রচার প্রধান পাভেল লিবদুস্কা বলেন, বন্দুকধারী দাবি করছিলো, ‘সে নির্যাতিত, কোন সরকারি প্রতিষ্ঠান তাকে সাহায্য করেনি এবং তার কাছে একটি বন্দুক ও জিম্মি রয়েছে যা দিয়ে সে নিজেই নির্ধারণ করবে কী করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, বন্দুকধারী তার নাম জানালেও আপাতত তার নাম প্রকাশ করা হবে না। বন্দুকধারীর ফোন পাওয়ার পর টিভি চ্যানেলের পক্ষ থেকে দ্রুত তা পুলিশকে জানানো হয়। শহরের মেয়র প্যাট্রিক কান্সার বলেন, ৬০ বছর বয়স্ক ওই বন্দুকধারী শহরেরই বাসিন্দা। তিনি সম্ভবত মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। আটজনকে হত্যার পর সে আত্মহত্যা করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিলান চোভান্সি এক টুইটার বার্তায় জানিয়েছেন, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এটি কোন সন্ত্রাসী হামলা ছিলো না। মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তি এ হামলা চালিয়েছে। চেক প্রধানমন্ত্রী বোহুস্লাভ সোবোতকা বলেছেন এ ঘটনায় তিনি মর্মাহত। একই সঙ্গে তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। প্রসঙ্গত, গত বছর অস্ট্রেলিয়ার সিডনির একটি ক্যাফেতে ইরানি বংশোদ্ভূত বন্দুকধারী অস্ত্রের মুখে দোকানকর্মী ও ক্রেতাদের জিম্মি করে রাখে। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় বন্দুকধারী। এ সময় দুজন জিম্মিও নিহত হন।