ঝিনাইদহে ১০ দফা দাবিতে জাতীয় কৃষক-ক্ষেতমজুর সমিতির সংবাদ সম্মেলন
মনিরুজ্জামান সুমন,ঝিনাইদহ:
শনিবার বেলা ১১ টায় জাতীয় কৃষক-ক্ষেত মজুর সমিতির ঝিনাইদহ জেলা শাখার উদ্যোগে ধান সহ সকল ফসলের ন্যায্য মুল্য নিশ্চিত কর, সরকারী রেটে বিক্রয় যোগ্য সব ধান সরাসরি খোদ কৃষকের কাছ থেকে সংগ্রহ করত সহ দশ দফা দাবিতে ঝিনাইদহ জেলা রিপোটার ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঝিনাইদহ জেলা জাতীয় কৃষক সমিতির সাধারন সম্পাদক জনাব নজরুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গনফ্রন্টের ঝিনাইদহ জেলা সমন্ময়কারী কমরেড নেহাল উদ্দিন আহাম্মেদ সোহেল,জাতীয় কৃষক সমিতির ঝিনাইদহ জেলার সভাপতি আব্দুল মাজেদ সহ সভাপতি নরেশ বিশ্বাস ও বিল্পবী ছাত্র মৈত্রীর ঝিনাইদহ জেলার যুগ্ন আহব্বায়ক রফিকুল আখতার। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন জাতীয় কৃষক সমিতির ঝিনাইদহ জেলার সভাপতি জনাব আব্দুল মাজেদ।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষক নেতা জনাব নজরুল ইসলাম বলেন,এ বছর কৃষকদের বোর ধান উৎপাদন করতে অঞ্চল ভেদে খরচ দাড়িয়েছে মন প্রতি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা। কিন্তু গরীব কৃষকদের উৎপাদন খরচ দাড়িয়েছে মন প্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা অথচ বাজারে মন প্রতি ধানের দাম ৬০০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকা। যদিও সরকারী ভাবে প্রতি কেজি ধান ২২ টাকা অর্থাৎ প্রতি মন ধানের দাম ৮৮০ টাকা ঘোষণা করা হলেও প্রকৃত কৃষক এক কে জি ধান ও সরকারী খাদ্য গুদামে দিতে পারে না। এই দশ দফা ঘোষণা দেন ১। ধান সহ সকল ফসলের ন্যয্য মুল্য নিশ্চিত কর সরকারী রেটে বিক্রয় যোগ্য সব ধান সরাসরি খোদ কৃষকের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে ২। কৃষি উপকরণের দাম কামাও ৩। গ্রাম শহরের গবীর মানুষদের রেশনিং ব্যবস্থা চালু কর ৪। আবাদি জমি ধ্বংস করা চলবে না ৫ । পর্যাপ্ত খাদ্য গুদাম ও উন্নত হিমাগার গড়ে তোল ৬। বিনা মুল্যে সেচ চাই ও সুদ মুক্ত কৃষি ঋণ চালু কর ৭। পরিকল্পিত কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা চালু কর ৮। আদিবাসী,উপজাতি ও অবাঙ্গিলী(বিহারি)সহ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীর সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে ৯। ক্ষেত মজুরদের সারা বছর কাজ চাই,নারী পুরুষের মজুরি সহ সকল বৈষম্য দূর কর ১০। মার্কিন সহ সকল সাম্রাজ্য বাদ রুখো ভারতের দাদা গিরি মানি না,অভিন্ন ৫৪ টি নদীর পানির স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত কর ।
এই জন্য জাতীয় কৃষক-ক্ষেত মজুর সমিতির ঝিনাইদহ জেলা শাখার পক্ষ থেকে কৃষকের ১০ দফা দাবী পেশ করেন । এই দাবিতে আগামী ২৮ মে ব্রিস্পতিবার বিকাল ৪ টা থেকে ৪.২০ মিটিত প্রযুন্তু ঝিনাইদহ জেলার কৃষকদের নিয়ে রাজপথে ধানের বস্থা ফেলে ২০ মিনিত অবরোধ গড়ে তোলার ঘোষণা দেন ।