তিন দিনের রিমান্ডে সাংবাদিক প্রবীর সিকদার
ফেসবুকে লিখে মন্ত্রীর সুনাম ক্ষুণ্ণের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার সাংবাদিক প্রবীর সিকদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের পুলিশ রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। ফরিদপুরের এক নম্বর আমলি আদালতের বিচারক হামিদুল ইসলাম মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। এই সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের ঘটনায় বিভিন্ন মহলের সমালোচনার মধ্যেই পুলিশ সোমবার তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিল। শুনানি শেষে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে প্রবীর সিকদারের পক্ষে আইনজীবী আলী আশরাফ নান্নু জানান।
মামলার বাদীর পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী অনিমেষ রায় ও নারায়ণ চন্দ্র সাহা। ফেসবুকে লেখালেখিকে কেন্দ্র করে হুমকি পাওয়ার পর নিজের নিরাপত্তাহীনতার কথা তুলে ধরে ঢাকায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গিয়েছিলেন একাত্তরে শহীদের সন্তান প্রবীর সিকদার। কিন্তু পুলিশ ওই জিডি নেয়নি জানিয়ে গত ১০ আগস্ট নিজের ফেসবুক পাতায় একটি স্ট্যাটাসে নিজের জীবন নিয়ে ঝুঁকির কথা বলেন এই সাংবাদিক।
আমার জীবন শঙ্কা তথা মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী থাকবেন শিরোনামের ওই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন- আমি খুব স্পষ্ট করেই বলছি, নিচের ব্যক্তিবর্গ আমার জীবন শঙ্কা তথা মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবেন : ১. এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি, ২. রাজাকার নুলা মুসা ওরফে ড. মুসা বিন শমসের, ৩. ফাঁসির দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী বাচ্চু রাজাকার ওরফে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এবং এই তিনজনের অনুসারী-সহযোগীরা।
এই লেখার মাধ্যমে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণের অভিযোগ তুলে রবিবার রাতে ফরিদপুর সদর থানায় মামলা করেন স্বপন পাল নামের এক আইনজীবী। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় এই মামলা করা হয়। এর আগেই ঢাকা থেকে প্রবীর সিকদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে ফরিদপুরে নিয়ে সোমবার আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়।