খাসিয়ামারা নদী ভাঙ্গনে হুমকির মুখে আলীপুর বাজার ও বিস্তীর্ণ ফসলি জম
আশিস রহমান, দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার খাসিয়ামারা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পথে উপজেলার সুরমা ইউনিয়নস্থ আলীপুর বাজার ও বাজার সংলগ্ন খেয়াঘাট, বসতভিটা এবং তীরবর্তী ফসলি জমি।ইতোমধ্যে কয়েক বছরের অব্যাহত নদী ভাঙ্গনে নদী গর্ভে বিলীন হয়েগেছে আলীপুর বাজারের প্রায় তিন-পঞ্চমাংশ জমি ও নদীর তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা। নদী ভাঙ্গন দিনদিন ব্যাপক পরিসরে বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারটির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা।শুধু আলীপুর বাজারই নয়, খাসিয়ামারা নদী ভাঙ্গনে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে লক্ষীপুর ও সুরমা দুই ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রাম। খাসিয়ামারা নদী অত্র এলাকাদ্বয়ের জন্য আশীর্বাদের পরিবর্তে অভিশাপ হয়ে দাড়িয়েছে।কিন্তু এ ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রশাসন নিশ্চুপ রয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ,খাসিয়ামারা নদীর পাড় ঘেষে অবস্থিত আলীপুর বাজারটি এবং বাজার সংলগ্ন বিস্তীর্ণ জমি, খেয়াঘাট ও বসতবাড়ি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।বিলীন হওয়ার পথে তীরবর্তী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও ফসলি জমি। তীরবর্তী ঝুকিপূর্ন এক মুদি দোকানের মালিক সিরাজ মিয়া বলেন, ঝুকি নিয়েই প্রতিনিয়ত কাজ করছি। আর হাত বিগত পরিমাণ ভাঙ্গলে আমার জীবন জীবিকার শেষ সম্বল এই দোকানটিও বিলীন হয়ে যাবে।
ব্যবসায়ী লোকমান হোসেন জানান, পাহাড়ি নদী হওয়ায় একটু খানি বৃষ্টি হলেই বন্যার সৃষ্টি হয়। কোনো কোনো সময় বাজারে হাটু পরিমাণ পানি হয়, তার ওপর আবার নদী ভাঙ্গনে বাজারটি অস্তিত্বহীনতায় রয়েছে। ভাঙ্গন রোধে কর্তৃপক্ষের কোনো আন্তরিক উদ্যোগ নেই। আলীপুর বাজার কমিটির সভাপতি নূর ইসলাম জানান, আলীপুর বাজার রক্ষায় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।অন্যথায় এই বাজারটি টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে দাড়াবে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আব্দুল কাদির মেম্বার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, অব্যাহত ভাবে বালু উত্তোলন এবং পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট ঘন ঘন বন্যায় খাসিয়ামারা নদীতে ব্যাপক হারে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।তিনি নদী ভাঙ্গন রোধে নদী থেকে অবাধ বালু উত্তোলন বন্ধ করার এবং আলীপুর বাজারের সন্নিকটে ব্লক বসানোর দাবী জানান।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর