নড়াইলে ২৮ বিদেশি রিভলবার উদ্ধার
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল: নড়াইল পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৪ থানায় বিভিন্ন মামলা ও অভিযোগে ২৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি বিদেশি রিভলবার উদ্ধার করা হয়। বুধবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। জেলা পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় অভিযান চালিয়ে ২৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় পুলিশ সদর উপজেলার কাগজীপাড়া এলাকার নুরুল হোসেনের বাড়ির পাশ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি বিদেশি রিভলবার উদ্ধার করে। আটককৃতদের মধ্যে নড়াইল সদর থানায় ৫, লোহাগড়া থানায় ৮, কালিয়া থানায় ৪ এবং নড়াগাতী থানায় ৯ জন রয়েছে। নড়াইল পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম জানান, পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি বিদেশি রিভলবার উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২৬ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। নড়াইলের ৪ থানায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলার ২৬ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় একটি বিদেশি রিভলবারও উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। জেলা পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্র জানায়, গ্রেফতারদের মধ্যে নড়াইল সদর থানা থেকে ৫ জন, লোহাগড়া থেকে ৮ জন, কালিয়ায় ৪ জন এবং নড়াগাতী থানা পুলিশ ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া সদর উপজেলার কাগজীপাড়া এলাকার নুরুল হোসেনের বাড়ির পাশ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি বিদেশি রিভলবার উদ্ধার করা হয়। নড়াইলের পুলিশ সুপার সরদার (এসপি) রকিবুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। অপরদিকে নড়াইলে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অভিযুক্ত কসাই ওমর আলী শেখকে (৬০) আটক করেছে পুলিশ। বরাশুলা থেকে আটক করা হয়। ওমর বরাশুলার রোকনউদ্দীন শেখের ছেলে। নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুভাষ বিশ্বাস আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের একটি চৌকশ টিম অভিযান পরিচালনা করেন, এ.এস.আই হাসান, এ,এস,আই আলমগীর, নারায়ণ, শিমুল, শরীফ, মুরাদ। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ের নড়াইল সদরের কমান্ডার অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান জিন্নাহ বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এনে নড়াইল আদালত চত্বরের পাশে চিত্রা নদীর লঞ্চঘাটে হত্যা করা হত। নড়াইলের বরাশুলার ওমর শেখ জল্লাদ হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাসহ নিরীহ মানুষকে হত্যা করে চিত্রা নদীতে ফেলে দিত। তিনি আরো বলেন, আটককৃত ওমরের যথাযথ বিচার দাবি করছি। পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম এ প্রতিবেদক উজ্জ্বল রায়কে বলেন, জল্লাদ ওমরকে নাশকতা মামলায় গ্রেফকার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।