পাটগ্রামে নদীতে লাশ; ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন
রমজান আলী, পাটগ্রাম:
লাশ আনতে বাঁধা ও পুড়িয়ে দেওয়ার ভুল তথ্য গণমাধ্যমে প্রদানের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৮ মে) দুপুরে লালমনিরহাটের বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত ইউনিয়ন পরিষদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, গত ২২ মে পোষাক শ্রমিক মৌসুমীর মা তার মেয়ের মৃত্যুর খবর আমাকে জানিয়ে বলেন, লাশ আনতে রংপুরে মেয়ের বাবা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানতে পারি মৌসুমী ঢাকা মেট্রো ট- ২২-২৫৯৮ ট্রাকে পাটগ্রামে আসার পথে রাতে মারা যায়। আমি ট্রাক চালক ও মালিকের সাথে কথা বলে রংপুর তাজহাট থানাকে অবগত করতে বলি ও পাটগ্রাম থানার ওসিকে ঘটনাটি জানিয়ে ৯৯৯ ফোন করে সহযোগীতা চাই। এরই মধ্যে ট্রাকের চালক আজিজুল ও সহকারী বুড়িমারী এলাকায় মৌসুমীর করোনায় মৃত্যুর গুজব ছড়ায়। এ ধরনের গুজবে ট্রাক মালিক নান্নু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করে মাইক্রো চালকের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মৌসুমীর বাবার সাথে কথা বলে লাশ নিয়ে আসতে বলি। মেয়ের স্বজনদের সাথে কথা বলে মেয়ের দাদার কবরের পাশে দাফনের ব্যবস্থা করি। পরে জানতে পারি মৌসুমীর বাবা গোলাম মোস্তফা লাশ না নিয়ে বুড়িমারী চলে এসেছেন। অপরদিকে তাজহাট থানা পুলিশ ময়না তদন্ত শেষে ওয়ারিশ না থাকায় লাশ কাউকে দিতে পারেনি। পরদিন ২৩ মে পুলিশ মৌসুমীর লাশ তার বাবার নিকট দেয়। কিন্তু ওইদিন দীর্ঘসময় অপেক্ষা ও যোগাযোগের চেষ্টা করে মৌসুমীর বাবা এবং মাইক্রো চালকের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। ২৪ মে শুনতে পারি মৌসুমীর লাশ তিস্তা নদীতে পাওয়া গেছে। লাশ আদিতমারী থানায়। এরই মধ্যে গণমাধ্যমের খবরে মৌসুমীর বাবা বলেন, আমি নাকী মৌসুমীর লাশ এলাকায় আনতে নিষেধ করি ও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখাই। আমি এ ধরণের মিথ্যা, ভিত্তিহীন কথা কখনোই বলিনি। এটি আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। আমি সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।