Connecting You with the Truth

রংপুর বেরোবিতে অনশনরতদের উপর হামলা ও পুলিশের লাঠি চার্জ-টিয়ারশেল নিক্ষেপ

bru-2 বেরোবি প্রতিনিধি:  রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দফায় দফায় অনশনরত ছাত্র ও শিক্ষকের উপর বহিরাগতদের হামলা ও পুলিশের লাঠি চার্জ-টিয়ারশেল নিক্ষেপে শিক্ষকসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে ।গুরুত্বর আহতদের মধ্যে তাৎক্ষনিক ভাবে তিনজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় বহিরাগতদের হামলায় আন্দোলনরত শিক্ষক মোঃ ফরিদউল ইসলাম;গাজী মাজাহরুল ইসলাম আনোয়ার আহত ও লাঞ্ছিত হন ।অপরদিকে পুলিশের লাঠি চার্জ-টিয়ারশেল নিক্ষেপে শিক্ষকদের মধ্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শরিফুল ইস্লাম,গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তাবিউর রহমান প্রধান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শামসুল হক,সহকারি রেজিস্ট্রার আমিনুর রহমান,শিক্ষার্থীদের মধ্যে শাহজাহান আলী,রুবেল,শমিরউদ্দিন,আসিফ গুরুত্বর আহত হয় । এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয় অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী শাহজাহান আলী।দফায় দফায় অনশনরত ছাত্র ও শিক্ষকের উপর বহিরাগতদের এই হামলা ও পুলিশের লাঠি চার্জ-টিয়ারশেল নিক্ষেপে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা ।

এসময় কয়েকজন ছাত্রকে গ্রেফতার করা হলেও পরে ছেড়ে দেয়া হয়। দফায় দফায় অনশনরত ছাত্র ও শিক্ষকের উপর বহিরাগতদের হামলা ও পুলিশের লাঠি চার্জ-টিয়ারশেল নিক্ষেপে রনক্ষেত্র পরিণীত ক্যাম্পাস ও পার্কমোড় এলাকায় বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অপসারন ও হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে আমরণ অনশন মঞ্চে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে রংপুর সদর উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা,কারমাইকেল কলেজের সাবেক অধ্যাপক মোজাহার ইসলাম ও কারমাইকেল কলেজের সাবেক ভিপি আলাউদ্দীনের নেতৃত্বে স্থানীয় বেশ কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তি অনশনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করতে আসেন ।এসময় তাদের সাথে আন্দোলনরত শিক্ষক মোঃফরিদউল ইসলাম;গাজী মাজাহরুল ইসলাম আনোয়ার সহ অন্যান্য শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতির দায়দায়িত্ব নিয়ে কথা বলেন ।একপর্যায়ে স্থানীয় বহিরাগত বেশকিছু লোকের সাথে শিক্ষকদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয় ।স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়ে এখানে চাষাবাদ করা হবে বলে হুমকি দেন ।এসময় আন্দোলনরত এক শিক্ষক নিজেও স্থানীয় লোক বলে পরিচয় দিলে সাথে সাথে স্থানীয় বহিরাগতরা শিক্ষকদের উপর চাড়াও হয়ে সেখানকার ১৫-২০টি চেয়ার ও অনশন মঞ্চ ভাংচুর করে ।একপর্যায়ে শিক্ষকদের উপর হামলা চালায় বহিরাগতরা ।এই হামলার প্রতিবাদে সাধারন শিক্ষার্থী লাঠি হাতে কুড়িগ্রাম-রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে রাস্তা অবরোধ করে বেশ কিছু গাড়ি ভাংচুর করলে পুলিশ তাদের উপর লাঠি চার্জ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে ।সাথে সাথে এলাকটি রনক্ষেত্রে পরিনিত হয় ।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৩৬ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ১০ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে ।খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও পার্ক মোড় এলাকাটি ফাঁকা ও নিস্তব্দ হয়ে যায় ।দফায় দফায় অনশনরত ছাত্র ও শিক্ষকের উপর বহিরাগতদের হামলা ও পুলিশের লাঠি চার্জ-টিয়ারশেল নিক্ষেপে রনক্ষেত্র পরিণীত ক্যাম্পাস ও পার্কমোড় এলাকায় বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে ।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান সেলিম বলেন, এ ঘটনার জন্য উপাচার্য দায়ী। তার অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। রংপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবব্দুল কাদের জিলানী জানান, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, গাড়ি ভাঙচুরের হাত থেকে রক্ষা ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হালকা লাঠিচার্জ করা হয়েছে।

Comments
Loading...