Connect with us

আন্তর্জাতিক

ফোনালাপের পর স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইউক্রেন

Published

on

Ukraine-and-Russiaইউক্রেনের বিদ্রোহীদের সাথে স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট পেত্র পরোশেনকো।

বুধবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে পেত্র পরোশেনকোর এ বিষয়ে ফোনালাপ হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।

জানা যায়, তাদের ফোনালাপের ফলেই ইউক্রেনের দনেক্স ও লুহানস্ক এলাকায় যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হয়েছে পেত্র পরোশেনকো।

এ ঘটনায় মস্কো থেকে জানানো হয়েছে, ইউক্রেন সংকট কাটাতে এবং সেখানে স্থায়ী শান্তি ফিরিয়ে আনতেই তারা যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হয়েছে।

দুই দেশের পক্ষ থেকে এমন সময় এ যুদ্ধবিরতীর ঘোষণা আসলো যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বাল্টিক অঞ্চলের নেতাদের সাথে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান সংকট নিয়ে আলোচনা করতে এবং ন্যাটো সম্মেলনে অংশ নিতে এস্তানিয়ায় অবস্থান করছেন।

জানা যায়, ওবামা তাল্লিনে এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্টসহ লাটভিয়া এবং লিথুনিয়ার প্রেসিডেন্টদের সাথে ইউক্রেন সংকট নিয়ে আলোচনা করবেন। এ তিনটি দেশ ২০০৪ সাথে ন্যাটোর সদস্যপদ লাভ করে। যারা ইউক্রেনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপে বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পরেছেন।

এরপর চলতি সপ্তাহের শেষে ওবামা ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দিবে। যেখানে রাশিয়া-ইউকেনের বিষয়ে বিভিন্ন পরিকল্প উপস্থাপন করা হবে এবং তার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ন্যাটো সেনা প্রেরণ করা হতে পারে।

ন্যাটো সম্প্রতি পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোকে রাশিয়ার অপাগ্রাসন থেকে রক্ষার জন্য সেখানে সৈন্য প্রেরণের সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল।

ন্যাটোর এ ধরনের সিদ্ধান্তের বিপরীতে রাশিয়া তার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছিল, রাশিয়া তার সামরিক কৌশল বদলাতে পারে যেখানে ন্যাটোর অবকাঠামো রাশিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি আসার চিত্র প্রতিফলিত হবে।

এর আগে ক্রেমলিনের উপদেষ্টা মিখাইল পপভ জানিয়েছেন, ইউক্রেন বিষয়ে রাশিয়ার নতুন সামরিক কৌশলে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার সাথে দেশটির সম্পর্ক অবনতির প্রতিফলন দেখা যাবে।

গত সোমবার ন্যাটো জানিয়েছে ইউরোপের পূর্ব সীমান্তে ন্যাটো বাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানো হবে। পূর্ব ইউক্রেনে সে দেশের সেনাবাহিনী গত কয়েকদিন ধরে রাশিয়াপন্থীদের সাথে যুদ্ধ করছে।

গত সোমবার ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, এ এলাকায় রাশিয়া ‘বড় ধরনের যুদ্ধ’ শুরু করেছে। যাতে লাখ লাখ সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। তবে রাশিয়া ইউক্রেনের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *