বাংলাদেশে এভারেস্ট
প্রকৃতির এক অপার বিস্ময় এভারেস্ট। ২৯ হাজার ফুটেরও বেশি উচ্চতায় সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে পৃথিবীর সর্বোচ্চ এই শৃঙ্গ। ১৯৫৩ সালের ২৯ মে এডমন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগে দুঃসাহসী অভিযাত্রায় প্রথম এই শৃঙ্গের চূড়ায় পা রাখেন। এরপর থেকে এভারেস্ট জয় দুঃসাহসীদের অদম্য নেশায় পরিণত হয়।
প্রতি বছর এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন অসংখ্য অভিযাত্রী। ইতোমধ্যে বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ের ইতিহাস গড়েন পর্যায়ক্রমে অনেকে। এভারেস্ট মানে শুধু অসাধ্য জয়ের হাসিমুখ নয়, বেদনার পর্বতমালাও। এ যাবৎ বহু অভিযাত্রী এভারেস্টের পথে প্রাণ হারিয়েছেন। এই মৃত্যুর তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে প্রতি বছরই।
১৯৯৬ সালের ১০ ও ১১ মে এভারেস্টের চূড়ার উঠতে গিয়ে প্রাণ হারানো আটজন পর্বতারোহীর বেদনাবিধুর আখ্যান নিয়ে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র এভারেস্ট। যেসব অভিযাত্রী নিহত হয়েছিলেন, তাদের মধ্যে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের রব হল। তাকে ঘিরেই এ ছবির গল্প এগিয়েছে। ছবিতে হলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জেসন ক্লার্ক। হলের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কিরা নাইটলি। এভারেস্টের মৃত্যুফাঁদে আটকে পড়ার সময় দেশে সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর সঙ্গে স্যাটেলাইট ফোনে বাঁচার আকুতির কথা বলেছেন অনেকবার। ছবিতে সেই আকুতির করুণ দৃশ্য হৃদয় কাঁপাবে দর্শকদের।
আইসল্যান্ডের পরিচালক বালতাসার কোরমাকুরের পরিচালনায় এ ছবিতে অভিনয় করেছেন মাইকেল কেনি, স্যাম ওয়ার্থিংটন, জ্যাসন ক্লার্ক, রবিন রাইট, এমিলি ওয়াটসন, কিরা নাইটলিসহ আরও অনেকে।
৬৫ মিলিয়ন ডলার বাজেটের ছবিটি আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ১৮ সেপ্টেম্বর। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে একই দিন বাংলাদেশেও মুক্তি পাবে এভারেস্ট। দেশের দর্শকদের জন্য ছবিটি নিয়ে এসেছে ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স। জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে ছবিটির প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশেরপত্র এডি/এস