বিশ্বকে কঠিন বার্তা ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ভাষণে শান্তি রক্ষা এবং মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার ইচ্ছার কথা জানান। গাজায় যুদ্ধবিরতির সাফল্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি নিজের নেতৃত্বের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন।
তবে গোটা বিশ্বকে দেওয়া এটি ছিল এক কঠিন বার্তা। ভাষণে ট্রাম্প আমেরিকার শক্তি ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন এবং যারা এই পথে বাধা দেবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
পানামা খালের প্রসঙ্গ তুলে ট্রাম্প বলেন, “পানামা খাল এক নির্বোধ উপহার। এটি আমাদের তৈরি করাই উচিত হয়নি। আমরা এটি চীনকে দিইনি, আবার এটি ফিরিয়ে নেব।”
এ ছাড়া মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, “পরবর্তী সময়ে এটি গালফ অব আমেরিকা নামে পরিচিত হবে।”
ভাষণে তিনি আমেরিকার সীমানা বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন। তবে দ্রুতই তিনি প্রসঙ্গটি শেষ করেন মঙ্গলগ্রহে আমেরিকার পতাকা স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে। তার এই বক্তব্যে উপস্থিত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক চওড়া হাসি দিয়ে সাড়া দেন।
ট্রাম্প তার নির্বাহী আদেশে মাদক চক্র বা কার্টেলগুলোকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার কথাও বলেন।
বিশ্ব অর্থনীতির বিষয়ে শুল্ক আরোপের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে ট্রাম্প বলেন, “আমরা আমাদের নাগরিকদের ধনী করার জন্য অন্য দেশগুলোর ওপর শুল্ক ও কর আরোপ করব।”
ভাষণে ট্রাম্প বলেন, “সূর্যের আলো পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে।” এই বক্তব্যের সঙ্গে ভাষণের অন্যান্য কথার সঙ্গতি কীভাবে মেলে, তা নিয়ে আলোচনার সুযোগ রয়ে গেছে।
সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টার দিকে ওয়াশিংটন ডিসির কংগ্রেস ভবনের ক্যাপিটল রোটান্ডায় ট্রাম্প শপথ নেন।
শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন এবং ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কমলা হ্যারিস।