Connecting You with the Truth

বিশ্ব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান-এপিআইসি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীস্টাফ রিপোর্টার:
বিশ্বসন্ত্রাস মোকাবেলায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা প্রধানদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সকালে রাজধানীর হোটেল রেডিসনে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা প্রধানদের সম্মেলন (এপিআইসিসি) উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। সপ্তম ‘এপিআইসিসি’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর, বাংলাদেশ এবং ডিরেকটোরেট ফর ইনটেলিজেন্স, ইউনাইটেড স্টেটস প্যাসিফিক কমান্ড’র যৌথ আয়োজনে। এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২৭টি দেশ- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, ব্র“নেই, কম্বোডিয়া, কানাডা, চিলি, ফ্রান্স, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, মঙ্গোলিয়া, মালয়েশিয়া, নেপাল, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, পাপুয়া নিউগিনি, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থ্যাইল্যান্ড, টোঙ্গা, ভিয়েতনাম, চীন, লাওস এবং মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা প্রধানদের নিয়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব আজ বহুমাত্রিক হুমকির সম্মুখীন। এটি কোনো দেশের পক্ষে এককভাবে মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। এদের মোকাবেলার জন্য সবাইকে সম্মিলিতভাবে একে অন্যের সঙ্গে সহযোগিতা ও সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। আশা প্রকাশ করে সম্মেলনে গোয়েন্দা প্রধানদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এ সম্মেলনের মাধ্যমে আপনাদের পর¯পরের মধ্যে বিদ্যমান দেয়ালগুলো ভেঙে যাবে। আপনাদের মধ্যে দূরত্ব কমে যাবে এবং বোঝাপড়া বৃদ্ধি পাবে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে নতুন কর্মকৌশল উদ্ভাবনের পাশাপাশি পার¯পরিক যোগাযোগ ও সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বিশ্ব শান্তির শত্র“ সন্ত্রাসীদের পরাজয় হবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো আগে বিচ্ছিন্নভাবে এবং সমন্বয়হীনভাবে কাজ করলেও প্রযুক্তি বদৌলতে তারা এখন অনেক বেশি সুসংহত ও সমন্বিতভাবে ধ্বংসাÍক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সন্ত্রাসীদের চলাচলের গতি বেড়েছে, যোগাযোগ সহজ হয়েছে এবং আÍগোপনের জন্য তারা বিস্তীর্ণ এলাকা ব্যবহার করছে। সন্ত্রাসীদের কোনো নির্দিষ্ট সীমানা নেই। এরা বিশ্বমানবতার শত্র“, শান্তির পথে অন্তরায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসীরা তাদের টিকে থাকার জন্য সব সময় উদ্ভাবনী শক্তিতে তৎপর। তাদের কোনো কর্মকৌশল উদঘাটনের হওয়ার পর তারা আবার নতুন কোনো কৌশলের উদ্ভাবন ঘটায়।
বাংলাদেশ সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মাটি কোনো ভাবেই কোনো বিদেশি উগ্রবাদীর চারণভূমি হতে পারে না। সরকার সে পদক্ষেপ নিয়েছি। এ জন্য আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামাদি যোগান দিয়ে চলেছি। সন্ত্রাসবাদ বিস্তারে অর্থের যোগান বন্ধে আইন পাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে যাতে মানবাধিকার অক্ষুন্ন থাকে তার জন্য কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলের ধরার পাশাপাশি এর বিরুদ্ধে নিজের দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো হুমকিই আমাকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অবস্থান থেকে সরাতে পারবে না। প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা প্রধানরা সন্ত্রাস দমন সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ গতিধারা নির্ধারণ নিয়ে তারা মতবিনিময় করছেন।

Comments
Loading...