Connecting You with the Truth

গুরুদাশপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ীতে প্রেমিকার অনশন, এলাকায় চাঞ্চল্য

gurudaspur pic-12.08গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি. নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের নওপাড়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ীতে অনশনরত প্রেমিকা ৫ দিন পর শনিবার বিয়ের আশ্বাসে অনশন প্রত্যাহার করেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, ৫ বছর পূর্বে নওপাড়ার মৃত- সিরাজুলের মেয়ে শাপলার পার্শ্ববর্তী খামার পাথুরিয়া পুর্বপাড়ার শফিকুলের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে প্রতিবেশী নওপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ রাজ্জাকের ছেলে জুয়েল বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে প্রেম নিবেদন করে। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে প্রেম বন্ধনে আবদ্ধ হয় তারা। এর পর থেকে তাদের মধ্যে দৈহিক মেলা-মেশা চলে আসছে বলে শাপলা জানান।
ঘটনার দিন রাতে শাপলার স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে জুয়েল তার ঘড়ে ঢুকে। হঠাৎ মেয়েটির স্বামী বাড়ীতে এসে জুয়েল ও শাপলাকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় দেখতে পায়। শফিকুলের অবস্থান টের পেয়ে জুয়েল ঘরের দরজা খুলতেই শফিকুল তাকে জাপটে ধরলে তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর স্বামী শফিকুল তার স্ত্রী শাপলাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। ভোর রাতে শাপলা বিয়ের দাবিতে তার প্রেমিক জুয়েলের বাড়ীতে গেলে গেট বন্ধ করে দেয়। অসহায় শাপলা প্রেমিক জুয়েলের গেটের সামনে অনশনরত অবস্থায় ৪ দিন যাবৎ অবস্থান করছে। এদিকে প্রেমিক জুয়েল তার শিশু মেয়ে ও স্ত্রী সাথী বেগমকে রেখে লাপাত্ত¡া।
শাপলা জানান, ৫ বছর যাবৎ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যবহার করে আসছে। আজ আমাকে বিয়ে করতে হবে। সে বিয়ে করবে বলে আমাকে সন্তান পর্যন্ত নিতে দেয়নি। যোগাযোগের চেষ্টা করে জুয়েলকে না পেয়ে তার বাবা উপজেলার নওপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ রাজ্জাক বলেন, এটা ষড়যন্ত্র, মেয়েটিকে বউ হিসেবে মেনে নেওয়ার প্রশ্নই আসেনা। এতে মিমাংসা করতে যত টাকাই লাগুক প্রয়োজনে দেওয়া হবে।
এঘটনায় চাপিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন ভুট্ট বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবে মিমাংসার চেষ্টা চলছে।
যোগাযোগ করা হলে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দিলিপ কুমার দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.