বেনাপোল বন্দর দিয়ে কাঁচামাল আমদানি কমেছে
কামাল হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি: বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা পন্য আমদানি বানিজ্য হৃাস পেয়েছে।ভারতীয় সরকার সেদেশের কাঁচা পন্যর রপ্তানি মুল্য বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের আমদানিকারকরা লোকসানের ভয়ে আমদানি বানিজ্য কমিয়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে।গত এক সপ্তাহে বাংলাদেশে মাত্র ১২ টি ট্রাকে কাঁচা পন্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।যা অন্যান্য সময়ের চেয়ে ৯৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
ভারত থেকে কাচা পন্য আমাদনিতে ধ্বস নামায় বাংলাদেশে কাঁচা পন্যর বাজার অস্বাভাবিক হয়ে উঠেছে এবং সরকার আমদানি বন্দ হওয়ায় হারাচ্ছে বড় ধরনের রাজস্ব।দেশের চাহিদা মেটাতে চলতি মাসের প্রথম দিকেও প্রতিদিন ভারত থেকে প্রায় শতাধিক ট্রাকে করে বিভিন্ন ধরণের কাঁচা পণ্য আসত। এসব পণ্যের মধ্যে ছিল পেঁয়াজ, গম, মরিচ, রসুন, আদা, চিনি, পানপাতা প্রভৃতি।
কিন্তু গত কিছুদিন ধরে ভারত কাঁচা পণ্যের রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধি করে দেয়।ফলে বাড়তি মূল্য দিয়ে পণ্য আমদানি করে মুনাফা করা দুরূহ।তাই অনেক ব্যবসায়ী ভারত থেকে কাঁচা পণ্য আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। কেউ কেউ ভারত থেকে আমদানি বন্ধ করে দিয়ে চীন ও মায়ানমারসহ অন্যান্য দেশ থেকে কাঁচা পণ্য আমদানি শুরু করেছেন।
আমদানি-রপ্তানী কারক কামাল হোসেন জানান,কাগজপত্র ঠিক থাকলে চীন থেকে একটি পণ্যের চালান বাংলাদেশে আসতে কমপক্ষে ২০ দিন সময় লাগে।আর ভারতের দূর-দূরান্ত এলাকা থেকেও সর্বোচ্চ ৫ দিনের মধ্যে পণ্য এসে পৌঁছায়। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ ও অর্থ সাশ্রয়ের কারণে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে আগ্রহী। কিন্তু ভারত সরকার আমদানি পণ্য, বিশেষ করে কাঁচা পণ্যের রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধি করায় আমদানি বাণিজ্যে ধস নেমেছে।
এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, গত ২০ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ভারত থেকে মাত্র ১৭টি ট্রাক কাঁচা পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে আবার ৪ দিন কোনো কাঁচা পণ্য আমদানি করা হয়নি।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর