ভারতে অনুপ্রবেশ করতে না পেরে দেশে ফিরলো সাড়ে ৩০০ আদিবাসী
চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: ভারতে অনুপ্রবেশ করতে না পেরে দেশে ফিরে আসলো চুনারুঘাটের পাহাড়ি অঞ্চলের সাড়ে ৩০০ আদিবাসী। নিচক বনরক্ষীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তারা দেশ ত্যাগ করতে চাইছিল নাকি এর পেছনে কারণ আছে তা খতিয়ে দেখতে গতকাল কালেঙ্গা আসছে বিজিবি।
এলাকাবাসী ও বিজিবি জানায়, চুনারুঘাট উপজেলা কালেঙ্গা বন রেঞ্জের অধীন মঙ্গল্যাবাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে প্রায় সাড়ে ৩০০ দেব বর্মা স¤প্রদায়ের লোকজন বসবাস করছেন। এরা মূলত বন মজুরি করেই সংসার চালায়। কেউ কেউ বন বিভাগের জমিতে ফসল ফলিয়ে জীবন ধারণ করে। শনিবার দুপুরে বন বিভাগের জমিতে কাজ করা নিয়ে ওই রেঞ্জের ছনবাড়ি বিট অফিসার ওয়াদুদ মিয়ার সাথে রমেশ দেব বর্মা (৪৫) কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রমেশ বর্মাকে মারধর করেন বিট অফিসার ওয়াদুদ। এ নিয়ে আদিবাসী দেব বর্মা সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। রাতে আবার আদিবাসীদের উপর চড়াও হন বনরক্ষীরা।
গতকাল সকালে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার লোকজন বিষটি নিষ্পত্তির চেষ্টা করেন কিন্তু রমেশ দেববর্মা সেটা না মেনে মঙ্গল্যাবাড়ির সাড়ে ৩০০ নারী-শিশুসহ দেববর্মারা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের দিকে রওয়ানা করে। তারা পায়ে হেঁটে বিকালে পৌঁছে ত্রিপুরা সীমান্তের ১৯৬৫ এর ৪ সাব-পিলারের ২৯নং গেটের সামনে। কাঁটাতার পেরিয়ে তারা ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করলে গুমিসিং বস্তি ক্যাম্পের বিএসএফ বাধা দেয় এবং আদিবাসীদের জন্য তাঁবু গাড়ে ও খাদ্যের ব্যবস্থা করে।
এদিকে এ বিষয়টি বিজিবির কাছে পৌঁছলে বাল্লা বিজিবি কোম্পান কমান্ডার মেছবাউর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। তাৎক্ষণিক সমাধানের লক্ষ্যে সীমান্তের ১৯৫৪নং পিলারের কাছে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিএসএফের কমান্ডিং অফিসার রাজকুমার এবং বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাল্লা বিজিবির কোম্পানী কমান্ডার মেছবাউর রহমান।
পরে ওই আদিবাসী দেব বর্মাদের বিজিবির হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। আদিবাসীরা রাত প্রায় সাড়ে ৯টার সময় মঙ্গল্যাবাড়িতে পৌঁছে।
বিজিবির ৫৫ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাজ্জাত হোসেন বলেন, নিচক ঝগড়া-ঝাটির করে তারা দেশ ত্যাগ করতে চাইলো নাকি এদের কোন উদ্দেশ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে।