যমুনার চাপে সুইস গেট ধসে ২০ গ্রাম প্লাবিত
গাইবান্ধা প্রতিনিধি: উজান থেকে নেমে আসা ঢলে যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে স্রোতের তীব্রতায় গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নে দুই ভোল্ট সুইস গেট বিধ্বস্ত হয়েছে । ফলে পাশর্^বর্তী তিন ইউনিয়নের ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের ফসলি জমি পাট ক্ষেত, সদ্য রোপনকৃত বীজতলা, খদ্য শস্যা, সহ প্রায় ৫শ থেকে ৬শ হেক্টর ফসল তলিয়ে গেছে । পানি বন্দি হয়ে পরেছে প্রায় ১ হাজার পরিবার।
২০০০ সালে এলজিইডি ২ ভেন্টের এ সুইস গেটটি নির্মাণ করে জুমারবাড়ি, হলদিয়া ও সাঘাটা ইউনিয়নকে বন্যার হাত থেকে রক্ষাকল্পে। ভাঙনের কবলে পরে গতসপ্তাহে এটি কয়েক ভাগে বিবক্ত হয়ে দেবে যায় । চলতি সপ্তাহে উজান থেকে নেমে আশা ঢলের ফলে পানির তীরের গতিতে পানি প্রবেশ করে সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া, ঘুড়দহ, জুমারবাড়ী ইউনিয়নের মদনের পাড়া, আমদির পাড়া, কঠুয়া,গোবিন্ধপর, জটিরপাড়া, থৈকরের পাড়া, জুমারবাড়ী, চিনির পটল,পালপাড়া, চকপাড়া, পবনতাইর, কুন্ডপাড়া, চান পাড়া, মিয়া পাড়াসহ প্রায় ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
জুমারবাড়ী ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল হাই জানার , সুইস গেট দেবে যাওয়ার ফলে তীরে গতীতে পানি প্রবেশ করায় তার প্রায় ১৫ বিঘা জমির জন্য লাগানো বীজতলা ডুবে গেছে। ফলে এবার তার আমন ধান চাষ করা হবে না। ঘুড়িদহ ইউনিয়নের চিনিরপটল গ্রামের কৃষক আঃ গফুর জনান, হঠাৎ বন্যার পানি এসে তার ৭ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ তলিয়ে গেছে। ফলে চরম ক্ষতিতে পরতে হচ্ছে।
হলদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহেলায় প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় কয়েক হাজার কৃষক। সুইটস গেট দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। হুমকিতে হলদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ত্রিতলা কানাইপাড়া দাখিল মাদ্রাসা।
সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাফিউজ্জামান ভুইয়া জানান, হলদিয়া ইউনিয়নের কানইপাড়া সুইটস গেট ধসে যাওয়ার ফলে যে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে তাতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পুনর্বাসনের জন্য সরকারি ভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে । ইতো মধ্যে তাদের তালিকা সংগ্রহের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। হলদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ত্রিতলা কানাইপাড়া দাখিল মাদ্রাসা ভাংগনের কবল থেকে রক্ষা করতে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।