Connect with us

ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁওয়ে অসাধু মুড়ি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টিকতে পারছেন না সৎ ব্যবসায়ী

Published

on

Thakurgaon muri Pic-01ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: মুড়িকে আকর্ষণীয় ও আকারে বড় করতে ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করছে ক্ষতিকারক হাইড্রোস। আর এই অসাধু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টিকতে পারছে না ঠাকুরগাঁওয়ের মুড়ির গ্রাম হরিনারায়ণপুরের পাঁচ শতাধিক নারী ব্যবসায়ী।
অন্য মাসের তুলনায় রমজান মাসেই মুড়ির চাহিদা কয়েকগুন বৃদ্ধি পায়। তাই ঠাকুরগাঁওয়ের মুড়ির গ্রাম হরিনারায়ণপুর ও গিলাবাড়ির পাঁচ শতাধিক নারী এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ভোরে মুড়ি ভাজার কাজ শেষ করেই পায়ে হেঁটে মাথায় মুড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন এ গ্রাম-ও গ্রাম আর কেউবা শহরে।
গিলাবাড়ি গ্রামের মুড়ি ব্যবসায়ী শ্রাবন্তী রাণী বলেন, রমজানে মুড়ির চাহিদা অনেক। কিন্তু পুঁজির অভাবে ঠিকমতো মুড়ি সরবরাহ করতে পারছি না। মিনতি রানী জানান, ভোর থেকে মুড়ি ভাজি, সকাল সাড়ে ৬ টায় বাড়ি থেকে বের হই। শহরের বিভিন্ন পাড়া, মহল্লায় মুড়ি বিক্রি করি।
কিন্তু পুঁজির অভাব ও অসাধু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টিকতে পারছে না এ গ্রামের নারীরা। তাদের তৈরি ভেজাল মুক্ত মুড়ির চাহিদা থাকলেও সরবরাহ করতে পারছে না তারা। আর কেউবা ব্যবসায় টিকতে না পেরে অন্য পেশায় চলে গেছে।
হরিনারায়ণপুরের চন্দ্রিমা রায় জানান, মুড়ির চাল কিনে বাড়িতে পানিতে ধুয়ে পরিষ্কার করি। এরপর লবণ দিয়ে রাখি। তার পর রোদে শুকিয়ে হাতে ভাজতে হয়।
আর মেশিনে যারা মুড়ি ভাজে তারা হাইড্রোস মিশিয়ে মুড়ি বড় ও সাদা করে কম দামে বিক্রি করে। এদের সঙ্গে পাল­া দিয়ে টেকা কষ্টকর।
শ্যামল ঘোষ জানান, ঠাকুরগাঁওয়ের বেশির ভাগ মুড়ির চাহিদা হরিনারায়ণপুর ও গিলাবাড়ি থেকে মেটানো হয়। অনেক কষ্টে মুড়ি ভেজে হেঁটে মুড়ি বিক্রি করি। ৩ থেকে ৪ দিন মুড়ি বিক্রি করে লাভ হয় ৪০০ টাকা। প্রতি কেজি মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা।
এ দিকে রজমানকে সামনে রেখে মুড়ির কারখানা গুলোতে অসাধু ব্যবসায়ীরা মুড়িতে মেশাচ্ছে ক্ষতিকারক হাইড্রোজ নামে একধরনের পাউডার। মানবদেহে এটি ক্ষতিকারক জেনেও ব্যবসা করার জন্যই তা মেশাচ্ছেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা। ঠাকুরগাঁও বিসিক শিল্পনগরীর দুটি মুড়ির কারখানাতেই দেদারছে মুড়িতে মেশাচ্ছে ক্ষতিকারক ইউরিয়া -হাইড্রোস ।
ঠাকুরগাঁও বিসিক শিল্পনগরীর জেড এন্ড জেড মুড়ির কারখানা মালিক রবিউল হোসেন জানান, মুড়িতে হাইড্রেজ মেশানো স্বাস্থের পক্ষে ক্ষতিকর। কিন্তু জনসাধারন পরিষ্কার মুড়ি ও আকারে বড় না হলে কিনছেনা। তাই হাইড্রোজ মেশানো হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন অফিসের স্যানিটারি কর্মকর্তা গোলাম ফারুক মুড়িতে হাইড্রোস মেশানো কথা শোনেন নি, তবে মুড়িতে হাইড্রোস মেশালে মুড়ি সাদা ও আকারে বড় হয় বলে জানান। এটি স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকার বলে জানান তিনি।
ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন ডা: নজরুল ইসলাম বলেন, যে কোনো রাসায়নিক পদার্থ কোনভাবেই হজম হয়না। সেগুলো পরবর্তীতে মানুষের দেহে এলার্জি, শ্বাসকষ্ট, শরীর ফুলে যাওয়াসহ কিডনীর রোগের সহায়ক হিসাবে কাজ করে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *