Connecting You with the Truth

সবার হাতে ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে টেলিযোগাযোগ নীতিমালা সংশোধন করা হবে : সজীব ওয়াজেদ

2015-05-07_6_775819

নিজস্ব প্রতিনিধি:  প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সবার হাতে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, এ সেবা পৌঁছে দিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের আধুনিকায়ন জরুরি। এজন্য দেশের বর্তমান টেলিযোগাযোগ নীতিমালা সংশোধন করা হবে।  তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে ডিজিটাল ইনভেস্টমেন্ট সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে রাজধানীর র‌্যাডিসন হোটেলে দিনব্যাপী এই সামিটের আয়োজন করেছে গ্রামীণফোনের মূল কোম্পানি টেলিনর।

বেসিসের সভাপতি শামীম আহসানের সভাপতিত্বে সামিটে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, টেলিনরের প্রেসিডেন্ট জন ফ্রেডরিক বাকসাস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা বলেন, জিডিপি’র আকার অনুযায়ী বাংলাদেশ বিশ্বের ৪৫তম অর্থনীতির দেশ। আমরা দেশকে গ্লোবাল আইটি ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। ২০০৮ সালে দেশের দারিদ্র্যের হার ছিল ৪০ শতাংশ, ২০১৪ সালে এই সংখ্যা ২৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। সাক্ষরতার হার ছিল ৪৯ শতাংশ, বর্তমান সরকার আজ তা ৬৫ শতাংশে নিয়ে এসেছে।

তিনি বলেন, সারা দেশে ইলেক্ট্রিসিটির গ্রিড ২৭ থেকে ৬২ শতাংশ, ইন্টারনেট ০.৪ শতাংশ থেকে ২৭ শতাংশ, মোবাইল গ্রাহক ২ কোটি থেকে ১২ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। দেশে ৫৩ হাজার ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এসব ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সহজেই সরকারি সেবা নিতে পারছেন বলেও উল্লেখ করেন জয়।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, ভূমি রেকর্ড, পরীক্ষার ফলাফল, সরকারি বিভিন্ন ফরম, মোবাইল ব্যাংকিং, লাইফ ইন্সুরেন্স, ইংরেজি শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবার পরামর্শ আজ ডিজিটাল হয়েছে।

দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি আইটি কোম্পানি তালিকাভুক্তি হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ফরেন মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে বিদেশি আইটি কোম্পানিগুলোকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া চলছে। আগামী মাস নাগাদ এ প্রক্রিয়া সফলতার মুখ দেখতে পারে। এতে বিদেশি বিনিয়োগকারী ও বাংলাদেশ উভয় পক্ষই লাভবান হবে। চাঙ্গা হয়ে উঠবে শেয়ারবাজারও।

সজীব ওয়াজেদ বলেন, আগে ভূমি রেকর্ডসহ সরকারি বিভিন্ন সেবা পেতে কয়েক সপ্তাহ লাগতো। এখন তা ২ থেকে ৫ দিনের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় ৯০ শতাংশ কমে গিয়েছে। ভ্রমণ খরচ অর্ধেকে নেমে এসেছে। আগে গ্রাম থেকে কাউকে শহরে যেতে যাতায়াত, থাকা, খাওয়াসহ অনেক খরচ লাগতো। এখন তার কিছুই লাগছে না। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ওয়েবসাইট এখন আমাদের। যেখানে ৫০ হাজারের বেশি লোক কাজ করছে। ২৫ হাজার মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম তৈরি করা হয়েছে।

২০১৮ সালের মধ্যে দেশের গ্রামাঞ্চলসহ সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে যাবে জানিয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ৭ লাখ মানুষ আইটি নির্ভর জীবিকা নির্বাহ করছে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে আইটি ও সফটওয়্যার পার্ক তৈরি করা হবে।

Comments
Loading...