Connect with us

দেশজুড়ে

সাটুরিয়ায় একটি ষাড়ের দাম ২০ লাখ টাকা

Published

on

04 09 16 (1)পরিস্কার বেগমের ২০ লাখ টাকা মূল্যের ষাড়। 

আব্দুস ছালাম সফিক, সাটুরিয়া: মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দেলুয়া গ্রামের পরিস্কার বেগমের ২০ লক্ষ টাকার ষাঁড় দেখতে প্রতিদিন ভিড় বাড়ছে। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে লালন করা অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের এ ষাড়টি এক নজরে দেখতে প্রতিদিন উৎসুক মানুষ ভিড় করছে। ষাঁড়টির উচ্চতা ৫ ফিট ৬ ইঞ্চি, লম্বা ৯ ফিট ও নূন্যতম ওজন হবে ৩৫ মণ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পরিস্কার বেগম (৪৫) ও তাঁর কন্যা ইতি আক্তার (১৮) মূলত এ ষাঁড়টি সাড়ে ৩বছর ধরে লালন পালন করে আসছেন। পরিস্কার বেগম জানান, তার ষাঁড়টিকে ল²ী বলে ডাকলে কথা বেশি শুনে। রাগ উঠলে ঠান্ডা পানি শরীরে দিলে শান্ত হয়। ষাঁড়টির খাদ্য তালিকায় রয়েছে, আজাদী কচু, ছোলা, চিড়া, গুড়, খাবার স্যালাইন, কদু, কলা, আঙ্গুর, আপেল, জাম্বুরাসহ বিভিন্ন ধরনের ফলমূল।
পরিস্কার বিবি জানান, ল²ীর মা ল²ীর জন্মের এক মাস ২২ দিন পর মারা যায়। নিজের সন্তানের মতো করে লালন করতে থাকি। সাড়ে ৩বছর ধরে আমার স্বামী খাইরুল ইসলাম ও কন্যা ইতিসহ তিন জন মানুষ ষাঁড়টির পিছনে পরিশ্রম করে আজকে পর্যন্ত নিয়ে আসছি। শেষ দেড় বছর প্রতিদিন প্রায় হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। বর্তমানে খাইরুল ইসলাম ষাঁড়টির দাম চাচ্ছেন ২০ লক্ষ টাকা।
খাইরুল ইসলাম আরো জানান, তাদের জন্য বাজার থেকে চাউল কিনতে ভুলে গেলেও ল²ীর জন্য ফলমূল আনতে ভুল করেন না। প্রতিদিন ফল খাওয়ান প্রায় ৩/৪শত টাকার।
ল²ী নামে ডাকা ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছে হাজার হাজার মানুষ। সাটুরিয়া উপজেলা ছাড়াও আশে পাশের উপজেলা থেকে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত এক নজরে দেখতে আসছে।
স্থানীয় দিঘুলীয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমান জানান, জেলার শ্রেষ্ঠ ষাঁড় বিবেচিত হওয়ায় আমি সরেজমিনে খোঁজ নিয়েছি। বাজার মূল্য স্বাভাবিক থাকলে ভাল মূল্য পাবেন বলে আশা করছি।
এ ব্যাপারে সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. নিতাই চন্দ্র দাস জানান, খাইরুল দম্পত্তি¡র অষ্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের এ ষাঁড়টি দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করছি। ষাঁড়টিকে কোনো প্রকার মোটা তাজাকরণ ওষুধ সেবন ছাড়াই দেশীয় পদ্ধতিতে লালন পালন করে আসছে। বর্তমানে এটি মানিকগঞ্জ জেলার সব চেয়ে বড় ও ওজনের ষাঁড়।
ষাঁড়টির মূল্য ২৫ লক্ষ টাকা দাম চাইলেও এত দমে বিক্রি করা যাবে না। শুধু মাংসের হিসাব করলেও ৩৫ মণ মাংসের দাম আসে ৭ লক্ষ টাকা। তাই ১৪-১৫ লক্ষ টাকা বিক্রি করতে পারলে তাদের কিছু টাকা লাভ হবে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *