১২ লাখ মানুষ তামাকে রোগাক্রান্ত
তামাক ব্যবহারের কারণে দেশের ১২ লাখ মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ কমিউনিটি ফর টোব্যাকো কন্ট্রোল (বিসিটিসি)। জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে শুক্রবার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়। বিসিটিসির সভাপতি তালুকদার হারুন বলেন, দেশে প্রতিবছর তামাক ব্যবহারের ফলে ১২ লাখ মানুষ ফুসফুসের ক্যান্সার, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসজনিত রোগসহ ৮টি কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এসব রোগীর মধ্যে মাত্র ২৫ শতাংশ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। প্রত্যক্ষ কারণে ৫৭ হাজার মানুষ মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে। এ ছাড়া তামাকের কারণে দেশের অর্থনীতিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১১ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে।
২০০৯ সালে প্রকাশিত গ্লোবাল আডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে রিপোর্টের বরাত দিয়ে তালুকদার হারুন বলেন, দেশে ১৫ বছরের ওপরে ৪ কোটি ১৩ লাখ মানুষ তামাক সেবন করে। যা মোট জনসংখ্যার ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৫৮ শতাংশ ও নারী ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ। এ ছাড়া ১৩
থেকে ১৫ বছরের শিশুদের মধ্যে ৭ শতাংশই তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ঢাকা টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ উইনস্টন ব্র্যান্ডের সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাত করতে জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে চুক্তি করেছে। সিগারেটটি বাজারজাত করতে তারা আমাদের স্বাধীনতা দিবসকে বেছে নিয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া শিক্ষার্থী-তরুণদের মধ্যে তারা বিনামূল্যে বিতরণ করেছে সিগারেটটি। এমনকি স্টিকার, লিফলেট ও ড্যাংলারসহ অন্যান্য প্রমোশনাল সামগ্রী বিতরণ করেছে। যা ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা-৫ এর লঙ্ঘন।
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দাবি করে তালুকদার হারুন বলেন, আইনে জনসমাগমস্থল ও গণপরিবহনে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু হোটেল-রেস্তোরাঁ ও কর্মক্ষেত্রকে জনসমাগমস্থল ও অযান্ত্রিক যানবাহনকে গণপরিবহন হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। আমরা এসব অন্তর্ভুক্তির দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হাসান শাফি, সহ-সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।