Connect with us

বিবিধ

ফুড পয়েজনিংয়ের জন্য দায়ী যে খাবারগুলো

Published

on

it-3রকমারি ডেস্ক:
মাঝে মাঝে কিছু ধরনের খাবার খাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডায়রিয়া, বমি, মাথাঘোরানো, পেটে ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দেয়। একেই ফুড পয়েজনিং অর্থাৎ খাদ্যে বিষক্রিয়া বলে। কিছু ক্ষেত্রে সর্তক না থাকলে এই ফুড পয়েজনিংয়ের কারণেই অনেক ক্ষতি হতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন সেসকল খাবার থেকে যার কারণে হতে পারে ফুড পয়জন।

১) ডিম
ডিম নিঃসন্দেহে পুষ্টিকর একটি খাবার। কিন্তু মাঝে মাঝে ডিমে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া স্যালমোনেলিওর উৎপন্ন হয় যার কারণে ফুড পয়জন হতে পারে। বিশেষ করে আপনার যদি কাঁচা ডিম খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে তা আরও ক্ষতিকর। তাই সতর্ক থাকুন ডিম খাওয়ার সময়ও।

২) টুনা মাছ
ইদানীং টুনা মাছ অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু এই টুনা মাছও স্কোমব্রোটক্সিন নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা দূষিত হয়ে থাকতে পারে যার কারণে পেটে ব্যথা এবং মাথা ব্যথা ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। টুনা মাছের ফুড পয়জন থেকে রক্ষা পেতে বাইরের টুনামাছের তৈরি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এবং বাসায় টুনা মাছ দিয়ে খাবার তৈরি করতে চাইলে খুব ভালো করে রেফ্রিজারেট করে নিন। অর্থাৎ অনেকটা সময় বরফে রেখে দেবেন।

৩) আলু
আলুর মাধ্যমে ফুড পয়েজনিং বেশ কম হলেও একেবারে অস্বাভাবিক নয়। কিছু কিছু সময় আলুর মধ্যেও থাকতে পারে টক্সিন, বিশেষ করে যদি জমিতে উৎপাদনের সময় যদি অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। কিন্তু যদি উচ্চ তাপমাত্রায় আলু রান্না করা হয় তাহলে এই টক্সিন থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।

৪) চীজ
চীজ খুব সহজেই স্যালমোনেলিওর লিস্টেরিয়া নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা দূষিত হতে পারে যার কারণে ফুড পয়েজন হয়। এই কারণে গর্ভবতী নারীদের গর্ভপাত হওয়ার আশংকাও দেখা দেয়। তাই চীজ খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।

৫) বেরী
অনেকেরই বেরী জাতীয় ফলে অ্যালার্জি থাকে যার কারণে ফুড পয়েজনিংয়ের শিকার হতে দেখা যায়। এছাড়াও ফ্রোজেন বেরী জাতীয় ফলে সিস্লোসপোরা নামক জীবাণু থাকে যা পেটে ব্যথা, পানিশূন্যতা ও ডায়রিয়ার সৃষ্টি করে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *