Connecting You with the Truth

২ কোটি ১৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে শনিবার

2015-04-23_6_125765

 

স্টাফ রিপোর্টার:

জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আগামী শনিবার দেশে দুই কাটি ১৫ লাখেরও বেশি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা জানান।

জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান আগামী ২৫ এপ্রিল শনিবার জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপন করবে। এ দিনে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। একইসঙ্গে শিশুর বয়স ছয় মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে ঘরে তৈরী সুষম খাবার খাওয়ানোর জন্য পুষ্টি বার্তা প্রচার করা হবে।

তিনি বলেন, ক্যাম্পেইনের দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কেন্দ্র খোলা থাকবে। শিশুদের ভরা পেটে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে। কাঁচি দিয়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের মুখ কেটে ভেতরে থাকা তরল ওষুধ চিপে খাওয়ানো হবে। জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
জাহিদ মালেক বলেন, দেশব্যাপী এক লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্রসহ অতিরিক্ত ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে ক্যাম্পেইনের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলো বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, ব্রীজের টোল, বিমানবন্দর, রেল স্টেশন, খেয়াঘাট ইত্যাদি স্থানে অবস্থান করবে। প্রতিটি কেন্দ্রে কমপক্ষে তিন জন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করবে।

দুর্গম এলাকায় ক্যাম্পেইন সফল করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে এ বছর ক্যাম্পেইনের দিনেই শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো হবে।

ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর ফলে শিশু যে শুধুমাত্র রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা পায় তা নয়, শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখবে। শর্করা জাতীয় খাদ্য স্বাভাবিক পরিপাকে সাহায্য করে। শরীরের ত্বক, হাড়, দাঁতের গঠন ও সুস্থতা রক্ষায় সহায়তা করে। ভিটামিন ‘এ’ ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল এবং হামের জটিলতা কমায় বলেও জানান স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এ কর্মসূচির ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর হার ১০০ ভাগে উন্নীত করার ফলে রাতকানা রোগের গড় ১ ভাগের নিচে নেমে এসেছে। প্রচার কার্যক্রমের কারণে শিশুদের মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর হার ৬৪ ভাগে উন্নীত হয়েছে।

জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন চলাকালে কোন কুচক্রী মহল নেতিবাচক প্রচারণার মাধ্যমে এই কার্যক্রমকে যাতে ব্যাহত না করতে পারে সেজন্য সকলকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন জাহিদ মালেক।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অ্যাধপক ডা. দীন মো. নূরুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Comments
Loading...