পিলখানা হত্যা মামলার রায় যেকোনো দিন
পিলখানা হত্যা মামলায় ১৫২ জনের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে উভয়পক্ষের করা আপিলের ওপর যেকোনো দিন রায় দেবেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার এসবের ওপর ৩৭০তম দিনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ বিষয়টি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন।
বেঞ্চের অপর দুই বিচারপতি হলেন- মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচারিত বিডিআর বিদ্রোহের ভিডিও ফুটেজ হাইকোর্টে প্রদর্শিত হয়। তিন কার্যদিবস ধরে আদালতে এই ভিডিও প্রদর্শন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
একই দিন সর্বোচ্চ সাজা চেয়ে নিন্ম আদালতে এ মামলায় যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডপ্রাপ্ত এবং খালাসপ্রাপ্ত সব আসামির বিরুদ্ধে আরও তিনটি আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
পিলখানা হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানির জন্য ২০১৫ সালে বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করা হয়।
বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে ওই বছরের জানুয়ারি মাসে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দফতর পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। এতে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।
এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়।
পরে মামলা দুটি স্থানান্তর হয় নিউমার্কেট থানায়। হত্যা মামলায় মোট আসামি ছিল ৮৫০ জন। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বিডিআরের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) তৌহিদুল আলমসহ ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন এবং সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয় ২৫৬ জনকে। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পান ২৭৭ জন।