Connect with us

জাতীয়

রংপুরের ঠাকুরপাড়ায় নাশকতায় ষড়যন্ত্র থাকতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Published

on

রংপুর প্রতিনিধি: রংপুরের ঠাকুরপাড়ায় নাশকতার পেছনে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও কক্সবাজারের রামুর ঘটনার ধারাবাহিকতা।
রাজধানীতে পুলিশ কনভেনশন হলে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ‘মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সম্মাননা অনুষ্ঠান’ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
রংপুরের ঘটনায় যে আইডি থেকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে, সেটি টিটু রায়ের কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি জানতে তদন্ত চলছে।’
তিনি বলেন, ‘সেখানে (রংপুরের ঠাকুরপাড়া) একটি জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই জানাজায় শত শত মানুষ উপস্থিত ছিল। সেখান থেকেই এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। উপস্থিত জনতার চেয়ে পুলিশ সংখ্যায় কম থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে সেটা মোকাবিলা করতে পুলিশকে বেগ পেতে হয়েছে। তবে পুলিশের কোনও গাফিলতি ছিল না।গোয়েন্দা তথ্যেও কোনও প্রকার ঘাটতি ছিল না।’ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ‘মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ডাকে সেদিন পুলিশ সদস্যরা উজ্জীবিত হয়েছিলেন। দেশের স্বাধীনতার জন্য তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন। রাজারবাগে প্রথম হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শুরু হলে সেখান থেকে বেতারের মাধ্যমে সারাদেশে খবরটি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এর ফলে অন্যান্য পুলিশ লাইন্সেও দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়। এ কারণে মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা সবসময় স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মহান মুক্তিযুদ্ধে ১১শ’র বেশি পুলিশ সদস্য শহীদ হন।’
এ অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় মঙ্গলবার ৩৪ জনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এদিন পুলিশের শহীদ সার্জেন্ট সাদেক দেওয়ানের পক্ষে পাঁচ লাখ টাকার চেক গ্রহণ করেন পারভেজ দেওয়ান এবং বীরত্বের জন্য চেক গ্রহণ করেন ওই সময়ের কনস্টেবল আলী আকবর। যারা জীবিত নেই তাদের স্বজনরা সম্মাননা গ্রহণ করেন। এর আগে প্রথম দফায় ৪৪ জনকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছিল।
পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল এ কে এম শহীদুল হক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব অপরূপ চৌধুরী। নাট্য ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, পুলিশের অতিরিক্ত আইজি, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা, প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পরিবারের সদস্য এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *