গাইবান্ধা
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্তরে গণশুনানী গ্রহন করেন ইউএনও
নির্বাহী অফিসার প্রতি সপ্তাহের বুধবার গণশুনানীর পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন।
জানা যায়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক জারীকৃত পরিপত্র মোতাবেক প্রতি বুধবার সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত বিভিন্ন বিভাগের অভিযোগের গণশুনানী গ্রহন করেন ইউএনও। বুধবার জরমনদী গ্রামের মৃত আঃ মজিদ মিয়ার পুত্র মোন্তাজ আলী রিয়াল সোসাল ফাউন্ডেশন ছাতী নামারীর চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীনের পল্লী বিদ্যুৎ সংক্রান্ত অভিযোগ, দক্ষিণ বামনজল গ্রামের গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সদস্য সাজেদা বেগম অভিযোগ করেন একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পভুক্ত আটজন সদস্যের নামে বিশ হাজার করে এক লক্ষ ষাট হাজার টাকা সমন্বয়কারী শাখাওয়াত হোসেন ও মাঠ কর্মী সাজেদুল ইসলাম লোনের টাকা উত্তোলন করে সদস্যদের মাঝে তা বিতরণ না করার অভিযোগ, পুর্ব সোনারায় গ্রামের আবু সাইদ হোসেন সরদার, পৌর সভার বাসিন্দা আঃ হামিদের স্ত্রী ইসমত আরা, আল আমিন সরকার, দক্ষিণ শাহাবাজ (গুচ্ছগ্রাম) এর মাসুদ মিয়ার অভিযোগের উপর গণশুনানী গ্রহন করা হয়। অভিযোগকারীগণ ন্যাশনাল সার্ভিস সংক্রান্ত একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের লোন সংক্রান্ত পল্লী বিদ্যুৎ সংক্রান্ত, পূব সোনারায় গ্রামের আবু সাইদ হোসেন সরকারের মুরগীর খামারের মুরগীর বিষ্টা সংক্রান্ত অভিযোগ, পৌর সভার ইসমতারা বেগমের ন্যাশনাল সার্ভিস সংক্রান্ত অভিযোগসহ জমি-জমা নিয়ে সমস্যা ও অনিয়মের বিষয়ে আরো অনেকের অভিযোগের গণ শুনানী করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অফিসার ফজল ইবনে কাওছার আলী, উপজেলা সমবায় অফিসার আনিছুর রহমান ও পল্লী বিদ্যুৎতের ডিজিএম প্রকৌশলী সোলায়মান হোসেন। উপজেলা পরিষদ চত্বরের বটতলায় এগণশুনানীর কার্যক্রম পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম গোলাম কিবরিয়া। সরকার সাধারণ মানুষের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে গণ শুনানী চালু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন প্রতি সপ্তাহের বুধবার উপজেলা চত্বরের বটতলায় গণ শুনানীর দিন ধার্য করেন। উপজেলা প্রশাসনের চলামান গণশুনানী সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। গণ শুনানীর মাধ্যমে আনিত অভিযোগ ও বিভিন্ন সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান পাচ্ছেন বলে ভুক্তভোগীরা জানান। এ নিয়ে ইউএনও’র সাথে কথা বললে তিনি জানান অসংখ্য সমস্যা নিয়ে সাধারণ মানুষ আমাদের স্বরণাপন্ন হচ্ছেন। তাদের সমস্যা গুলো আমরা শুনছি এবং সমাধান ও পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করছি।