সরকার দর বৃদ্ধি করলেও শেরপুরে চামড়া ব্যাবসায়ীদের মুখে হাসি নেই
শেরপুর প্রতিনিধি
সরকার কর্তৃক চামরার দাম কিছুটা বৃদ্ধি করলেও শেরপুরের চামরা ব্যাবসায়ীদের মুখে হাসি নেই। কারণ হিসেবে ব্যাবসায়ীরা জানায়, লবনের দাম প্রায় দ্বিগুন এবং লেবার খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবারও তারা লাভবান না হওয়ার আশংকা করছেন। জেলায় পশু কোরবানী শেষে শহরের খরমপুর মোড়ে স্থানীয় মৌসুমি ব্যাবসায়ীরা গ্রাম-গঞ্জ থেকে চামরা কিনে এনে ব্যাপারীদের কাছে বিক্রি করছে। এছাড়া এখানে কিছু মাদরাসা সরাসরি পাইকারী ব্যবসায়ীদের কাছেও চামরা বিক্রি করছে।
শেরপুর জেলা শহরের খরমপুর অস্থায়ী চামরা বাজারে কয়েকজন মৌসুমী চামরা ব্যাবাসায়ী এবং ব্যাপারীদের সূত্রে জানাগেছে, তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে ৭ শত থেকে ৮ শত টাকা দরে চামরা কিনে তা লবনজাত করে লেবার খরচসহ প্রতি পিছ চামরার দাম প্রায় ১২ শত থেকে ১৩ শত টাকা পড়ে যাচ্ছে। সরকার ঘোষিত দর অনুযায়ী লবনজাত করার পর প্রতি পিছ চামরার দাম প্রায় ১৫ শত টাকা করে বিক্রি করতে পাররে। প্রতি বছর ঢাকার ব্যাপারীরা সিন্ডিকেট তৈরি করে অনেক সময় সেই সরকার নির্ধারিত দর দিয়েও চামড়া কিনতে চায় না। এবারো সে আশংকাও করছেন ব্যাপারীরা।
চামরার ব্যাপারী খুরশেদ আলম বলেন, সরকার চামরার দাম কিছুটা বৃদ্ধি করলেও লবনের দাম দ্বিগুন এবং লেবার খরচ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের তেমন কোন লাভ হবে না। এক সময় শেরপুর জেলায় ২৫ থেকে ৩০ জন ব্যাপারী থাকলেও প্রতি বছর লোকসান দিতে দিতে অনেকেই এ ব্যাবসা থেকে সরে গেছে বলে জানায় এই প্রবীণ চামরা ব্যবসায়ী।
এদিকে চামরা ব্যাবসাকে টিকিয়ে রাখতে সরকারী দর আরো বৃদ্ধি এবং সিন্ডিকেট ভাঙ্গার প্রয়োজন বলে জানায় স্থানীয় চামরা ব্যাবসায়ীরা। ছবি সংযুক্ত