বিবিধ
লোভনীয় অফারের ভিড়ে যেভাবে রাখবেন বাজেট ঠিক
শপিং করতে কার না ভালো লাগে বলুন! বিশেষ করে পছন্দের জিনিস কম দামে পাওয়া গেলে তো কথাই নেই। ঝোঁকের মাথায় কিনে ফেলেন অনেকে একগাদা জিনিস। ফলাফল, বাজেট ফেল! সারা বছর জুড়েই বিভিন্ন সুপারশপ, ব্র্যান্ডের পণ্যে থাকে ছাড়ের ব্যবস্থা। বিশেষ কিছু সময়ে যেমন ঋতু পরিবর্তন, কোনো বিশেষ উপলক্ষে অথবা বছর শেষে বড় আকারে ক্লিয়ারেন্স সেল দেয় নামিদামী দোকানগুলো। সেল, ডিসকাউন্ট, লোভনীয় অফারের ছড়াছড়ি থাকে এসব সময়ে। এতশত লোভনীয় সুবিধার ভিড়ে বাজেট ঠিক রাখাটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে। রইলো এত সবের মধ্যেও বাজেট ঠিক রাখার কিছু টিপস।
– কী কিনবেন তার তালিকা তৈরি করে তবেই দোকানে যান।
– কম দামে পাচ্ছেন বলেই অপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনবেন না।
– প্রিয়জনদের জন্য গিফট এই সময়ে কিনে রাখুন।
– অনেক ক্ষেত্রেই প্রথমে জিনিসের দাম বাড়িয়ে পরে সেই দামের ওপর বিশাল অংকের একটা ছাড় দেয়া হয়। তাই ছাড় দিয়ে জিনিসটা কিনলেও শেষ পর্যন্ত দামটা একই পড়ে। তাই একটু যাচাই-বাছাই করে তবেই কিনুন।
– ডিসকাউন্টের জায়গায় নানা সাইজের জিনিস পেলে অবাক হবেন না। অনেক সময় যেগুলো নতুন ট্রেন্ডের নয়, আউট অব ফ্যাশন, সেগুলো বিক্রি করা হয় একেবারে কম দামে।
– ফ্যাক্টরি আউটলেটে জিনিস কেনার সময় নজর রাখুন পছন্দের জিনিসটিতে কোনো খুঁত আছে কি না, সেটি ফেরতযোগ্য কি না বা ফেরত দিলে পরিবর্তে টাকা ফেরত পাওয়ার সুযোগ আছে কি না বা পালটে দেবার মতো স্টক তাদের কাছে আছে কি না।
– ‘বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি’ অফার থেকে জিনিস কেনার সময় খেয়াল রাখুন ফ্রি-তে পাওয়া জিনিসটি বেশি দামের না কম দামের। বেশি দামের হলে অতিরিক্ত দামটা কি মেটাতে হবে অথবা জিনিসটি কম মানের স্টক থেকে নিতে হচ্ছে কি না।
– ডিসকাউন্ট চেইন স্টোরে ছাড় দিয়ে পণ্যের দাম দেখলেন ৩৯৯.৯৯ টাকা। আসল দাম উল্লেখ আছে কি না খেয়াল করুন। কারণ হয়তো দেখবেন জিনিসটির আসল দাম ৪০০ টাকা।
– গয়না, ইলেকট্রনিক্স জিনিসে অনেক সময় ক্যাশ ব্যাক অফার থাকে। কেনার সময় সতর্ক থাকুন। একটা নির্দিষ্ট টাকার ওপর কত শতাংশ টাকা ফেরতের কথা বলা হচ্ছে তা ভালো করে দেখে নিন।
– অনলাইন শপিংয়ে কম দামে জিনিস কেনার লোভ থাকলেও মনে রাখবেন ডেলিভারি চার্জ বাদ দিয়ে দাম ধরে এরা। আর চোখে না দেখে জিনিস কেনার ঝুঁকি তো থেকেই যায়।
– গিফট ভাউচার আকর্ষক হলেও যে দামের জিনিস কিনছেন তার চেয়ে কম মানের ও দামের গিফট ভাউচার কি না খেয়াল করুন।