Connect with us

দেশজুড়ে

টানা অবরোধ ও দফায় দফায় হরতালে রমেক হাসাপাতালে ওষুধ সংকট

Published

on

রংপুর প্রতিনিধি:
টানা অবরোধ ও দফায় দফায় হরতালে বিভিন্ন প্রকার ওষুধ সংকটে পড়েছে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল। ফলে সাধারণ রোগীরা হাসপাতালের বিনা মূল্যে ওষুধ না পেয়ে বেকায়দায় পড়ে তা বাইরে থেকে কিনছেন। এতে করে বিঘিœত হচ্ছে রোগীদের চিকিৎসা সেবা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সংকটে থাকা জীবনরক্ষাকারী ওষুধগুলো রোগীদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন রয়েছে।
হাসপাতাল স্টোর সূত্রে জানা গেছে, এন্টিবাওটিক, ব্যথানাশক ও ইনজেকশনসহ ৩০ থেকে ৪০ প্রকার ওষুধ এখন নেই। বগুড়ার এসেনশিয়াল ড্রাগ কোম্পানি থেকে এসব ওষুধ সামগ্রী সরবরাহ হয়ে থাকে। গত এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে এসব ওষুধ সংকট দেখা দিয়েছে। কিন্তু অবরোধ ও দফায় দফায় হরতালের কারণে বগুড়া থেকে ওষুধ আনা যাচ্ছে না।
ফলে আউট ও ইনডোরে জীবন রক্ষাকারী উল্লেখযোগ্য ওষুধ সরবরাহ করতে পারছেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে রয়েছে, ইনজকশন সেফটি এ্যাকজন, ডেক্সামেথাসিন ১ মিলি লিটার, ক্যাপসুল ফ্লুক্লক্সাসিলিন ৫০০ এমজি, সেফিক্সিম ২০০ এমজি, ওমিপ্রাজোন ২০ এমজি, ট্যাবলেট এজি থ্রোমাইসিন ৫০০ এমজি, ট্যাবলেট সিপ্রোফ্লক্সাসিলিন ৫০০ এমজি, প্যারাসিটামল, মেট্রোনিটাজল।
সূত্র মতে, হাসপাতালে ১৪০ প্রকারেরও বেশি ওষুধ সরবরাহ হয়ে থাকে। রোগীদের অভিযোগ, চিকিৎসকরা হাসপাতালের ওষুধ নেয়ার জন্য ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন। কিন্তু ওষুধ নেই বলে স্টোর থেকে জানানো হচ্ছে। একারণে তাদের বাইরে থেকে তা কিনতে হচ্ছে। জানা গেছে, রোগীরা বিনা মূল্যে হাসপাতালের ওষুধ পেয়ে থাকেন।
জানা গেছে, ফার্মাসিস্ট আনিসুল হক জানান, ওষুধ সংকট থাকলেও ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা থেকে স্যালাইন নিয়ে আসা হয়েছে। এখন পর্যাপ্ত স্যালাইন মজুদ থাকার কথা জানান তিনি।
হাসপাতালের সাব মেডিসিন স্টোর ফার্মাসিস্ট ইনচার্জ মোকছেদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পুলিশের সহযোগিতা ছাড়া টানা অবরোধ ও দফায় দফায় হরতালে ঝুঁকি নিয়ে বগুড়া থেকে ওষুধ আনা যাচ্ছে না। অথচ হাসপাতালে নেই এমন ওষুধগুলো রোগীদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তিনি এজন্য পুলিশ প্রটেকশনের মাধ্যমে বগুড়া থেকে ওষুধ সরবরাহের দাবি জানান।
রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. আব্দুল বাতেন বিভিন্ন প্রকার ওষুধ সংকটের কথা জানেন না বলে জানান। তবে তিনি বলেন, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *