ঢাকা বিভাগ
কালকিনিতে নৌকায় ভোট দেয়ায় বাড়ী-ঘর ভাংচুর লুট পাট। কয়েকটি গ্রাম পুরুষ শুণ্য
আশরাফুর রহমান কালকিনি(মাদারীপুর) প্রতিনিধি
মাদারীপুর জেলা কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের উত্তর জোনারদন্দি ও দক্ষিন কানাইপুর গ্রামের মোনাই চৌকিদার,গনি চৌকিদার মালেক সরদার ও হারুন চৌকিদারের বাড়ী-ঘর ভাংচুর, লুট, নারী ও শিশুদের উপর হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা। ইউপ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেয়ায় গত মঙ্গলবার সন্ধায় এ হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ঐ দুই গ্রামে পুরুষ শুন্য হওয়ায় রাতে নারী ও শিশুরা আতংক গ্রস্থ হয়ে পড়েছে।
সরেজমিন ও ভুক্তভোগি পরিবারের অভিযোগ সুত্রে জানা যায় গত ৭ই মে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে আ’লীগ প্রার্থী মোঃ সাহীদ পারভেজ নৌকা মার্কায় নির্বাচন করলে তিনি আওয়ামী বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ হাফিজুর রহমান মিলন সরদারের নিকট পরাজিত হন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে আ’লীগ সমর্থিত কালকিনি পৌরসভার মেয়র এনায়েত হোসেন নির্বাচন করলে তার চাচাত ভাই নির্বাচনের আগের দিন দক্ষিন কানাইপুর গ্রামে গেলে দুবির্ত্তদের হাতে আহত হন। আহতর ঘটনায় থানায় একটি মামলা হলে দুই গ্রাম পুরুষ শুন্য হয়ে পরে। এর পর থেকেই মেয়র এনায়েত হোসেন ও আলিনগর ইউয়িনের নির্বাচিত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান মিলন সরদার সমর্থিত সন্ত্রাসীরা ঐ দু’গ্রামে রাতের আধারে চুরি থেকে শুরু করে পুরুষ শুন্য বাড়ীতে নারী ও শিশুদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বেড়াচ্ছে। এমনকি কোন বাড়ীর ফলফলাদি ছিরে নেয়া, পুকুর থেকে মাছ ধরে নেয়া, দিনের বেলা বাড়ীর বাইরে মহিলাদের বের হতে না দেয়া ও শিশুদের রাস্তায় পেলে মারধর করাসহ অসংখ্য অভিযোগ করেন ভুক্তভোগি পরিবার গুলো। লাবনী বেগম, হাওয়া বিবি, নাছরিন বেগম ও হোসনেয়ারা বেগমসহ একাধিক মহিলারা জানায় আমাদের গ্রামে পুরুষ না থাকায় আমরা বাচ্চা শিশুদের নিয়ে রাতে আতংকিত রয়েছি। সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমাদের বাড়ীর উপর দিয়ে হেটে যায় আর বাজে ভাষা ব্যবহার করে। আমাদের গাছের কাঠাল, কলাসহ নানা ফল ফলাদি চুরি করে নিয়ে যায়। এমকি রাতে মুরগী ও ছাগল নিয়ে গেলে আমরা কার কাছে বললে আমাদের বাচ্চাদের মেরে ফেলার হুমকী দেয়। থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিলে রাতেই আবার বাড়ীতে হামলা চালায়। আমরা নৌকায় ভোট দিয়ে কি পাপ করেছি। এখন আমরা ঘরে থাকতে পারছিনা।
আলিনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মনির হোসেন হাওলাদার বলেন, নির্বাচনের পর থেকেই আমাদের আওয়ামী সমর্থিত কমিদের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিলেও কোন ব্যবস্থা নেয়না।
নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ হাফিজুর রহমান মিলনের ফোনে ফোন দিলেও তিনি রিসিব করেননি।
এব্যপারে কালকিনি থানা অফিসার ইনচার্জ কৃপা সিন্দু বালা বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। কেউ এখনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসংঙ্গ গত ৭মে নির্বাচনের পরের দিন ৮মে নির্বাচিত আওয়ামী বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ হাফিজুর রহমান মিলন সরদারের সমর্থিত সন্ত্রাসী বাহিনী নৌকায় ভোট দেয়া মোঃ সাহীদ পারভেজের সমর্থিত ৬গ্রামে হামলা চালিয়ে দেড়শতাধিক ঘরবাড়ী লুট ও ভাংচুর করে এসময় ২০জন নারি ও শিশু গুরুতর আহত হলে তাদের পুলিশ উদ্ধার করে কালকিনি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।