গোবিন্দগঞ্জ(গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গত দু’দিন ধরে ভারী বর্ষণের ফলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ধ্বসে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া ছাড়াও বিভিন্ন ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। জানা যায়, গত দুদিনে ভারী বর্ষণের ফলে নিম্নাঞ্চলগুলো পানিতে টই-টুম্বুর হয়েছে। সুন্দরগঝঞ্জ পৌর শহরের সাবেক পোষ্ট মাষ্টার সুলতান আহম্মেদের বাড়ির নিকট মীরগঞ্জ-চৈতন্য বাজার গামী পাকা সড়ক ও লাটশলার বাজার থেকে খোদ্দা গামী কাঁচা রাস্তার ধ্বসে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বেলকা বাজারের পাকা সড়কের উপর হাটু পানি জমে থাকায় যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটছে। এছাড়া কোন কোন চলাচলের রাস্তা তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। গ্রামঞ্চলের কাঁচা রাস্তা গুলো তলিয়ে গেছে পানির নিচে। চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের ধান-পাট,শাক সব্জি ও ক্ষেত আমন ধানের বীজ তলা পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে। পানিতে ডুবে যাওয়ায় শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়ায় মৎস্য চাষীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বীজতলা, বর্ষালী ধান, শাক-সব্জি ক্ষেত ও পাট নিমজ্জিত হওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। নিম্নাঞ্চল গুলোতে জমে যাওয়া পানিতে প্রয়োজনীয় কালভার্ট, ব্রীজ ও নালা না থাকায় বেরিয়ে যেতে পারছেনা। তিস্তা নদীর পানিও পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারি বর্ষণে পানির ঢলে মীরগঞ্জ-চৈতন্য বাজার পাকা রাস্তার ২০ ফুট পরিমাণ ধ্বসে পড়ায় তারাপুর ইউনিয়নবাসীর সাথের উপজেলার যোগাযোগ বিছিন্ন রয়েছে। এছাড়া সুন্দরগঞ্জ-রংপুর গ্রামীণ হাইওয়ে সড়কের বামনডাঙ্গা হল মোড়ের কাছে রাস্তার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সাথে রাস্তাও ক্ষয়ে যাচ্ছে। যে কোন মুহুর্তে রাস্তাটি ধ্বসে যেতে পারে। এব্যাপারে পৌর ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসান জানান, তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা কৃষি অফিসার রাশেদুল ইসলাম জানান, নিমজ্জিত পাট ক্ষেত, বীজ তলাসহ, বর্ষালী শাক সব্জির বিষয়ে পুরো তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী কমলেশ চন্দ্র জানান, অনেক পুকুরের মাছ বেরিয়ে গেছে। নিমজ্জিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হাবিবুল আলম জানান, বালাপাড়া রাস্তা ধ্বসে গেলেও বামনডাঙ্গা হল মোড়ের কাছে পাকা রাস্তার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।