চট্রগ্রাম
মিতু হত্যাকান্ডে আনোয়ার ও ওয়াসিম সরাসরি জড়িত
আজ বেলা ৩টায় নগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে ইকবাল বাহার এ কথা বলেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল রাতে ওয়াসিম ও মো. আনোয়ার নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার বলেন, আনোয়ার ঘটনাস্থলের পাশেই ছিল। তাদের দুজনের বাড়ি রাঙ্গুনিয়ায়।
ইকবাল বাহার আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে খুনিরা সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। কার নির্দেশে, কেন তারা এ খুন করেছে তা তদন্ত পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। আজ দুজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে অনেক তথ্য দিয়েছে। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না। অপরাধীরা পেশাদার। খুনে সাত থেকে আটজন অংশ নিয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।
হত্যাকারীরা জঙ্গি কি না, বা জঙ্গিরা এ কাজ করিয়েছে কি না জানতে চাইল ইকবাল বাহার বলেন, এটা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সব বিষয় সামনে রেখে তদন্ত করা হচ্ছে।
অপরদিকে, মাহমুদা হত্যার ঘটনায় ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন তার স্বামী বাবুল। গত শুক্রবার গভীর রাতে ঢাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে সাড়ে ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে খিলগাঁওয়ের ভুঁইয়াপাড়ার শ্বশুরবাড়িতে তাকে পৌঁছে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর ওআর নিজাম রোডের বাসার অদূরে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। মোটরসাইকেলে আসা তিন হামলাকারী মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে এ ঘটনায় বাবুল আক্তার নিজে বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন।