দেশজুড়ে
নির্যাতনের ৭দিন পর বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু, থানায় মামলা নিতে গড়িমসি
গুরুদাসপুর(নাটোর)প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার জুমাইনগর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে শাহীন (২৫) কে ব্যক্তিগত আক্রোশে গত ২৩ জুন বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করে মুমূর্ষ অবস্থায় অটোভ্যানযোগে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। পরে চিকিৎসার অভাবে ধুকে ধুকে ৭ দিন পর গত ২৯ জুন বুধবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়। মৃতুর তিনদিন পর মামলা রেকর্ড করা হচ্ছে বলে জানান থানা পুলিশ।
থানা ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বেড়গঙ্গারামপুর গ্রামের জহির শাহ’র ছেলে এলাহী ও তার ছেলে লিটন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ২৩ জুন বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাড়ি থেকে শাহীনকে ডেকে নিয়ে যায়। সকলের অজান্তে তাদের বাড়িতে শাহীনের দেহের গোপনাঙ্গ সহ নির্মমভাবে শারিরীক নির্যাতন ও ব্যাপক মারধর করে। এতে শাহীন জ্ঞান হারিয়ে ফেললে অটোভ্যানযোগে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়। এরপর তার আত্মীয়স্বজন গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু আর্থিক দৈন্যতার কারণে আহত শাহীনকে বিনাচিকিৎসায় ৭ দিন পর ২৯ জুন বুধবার বিকেল ৪টার দিকে মারা যেতে হয়। পরদিন সকাল ১০টায় নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর পাঠানো হয়।
নিহত শাহীনের প্রতিবন্ধি অভাগিনী মা শারজান বেগম বলেন, গুরুদাসপুর থানায় অভিযোগ দিয়েও মামলা রেকর্ড করাতে পারিনি। তার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর ন্যায্য বিচারের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি চাই। হত্যার তিনদিন পর এলাহী ও লিটন সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে শুক্রবার হত্যা মামলা রুজু করবেন বলে জানান থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দিলীপ কুমার দাস জানান, ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার জন্য নেতাদের দেনদরবার চলার কারণে তাৎক্ষনিকভাবে মামলা রেকর্ড করা সম্ভব হয়নি। তবে আজ (শুক্রবার) ওই মামলাটি রেকর্ড করা হবে এবং শাহীন হত্যার সাথে যারা জড়িত আছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।