জাতীয়
নাসিক নির্বাচনে শামীম ওসমানকে ঘিরে অাঃ লীগের শঙ্কা
নারায়ণগঞ্জের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণ ও প্রচার ব্যবস্থাপনায় থাকা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা এবং আইভীর পক্ষে থাকা স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই শঙ্কা ও দুশ্চিন্তার কথা জানা গেছে।
আইভী নিজেও ১৫ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় শঙ্কার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে তৃতীয় পক্ষ কারসাজি করতে পারে। এ জন্য নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক থাকতে হবে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জের ২৭টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী আছেন ১৫৭ জন। তাঁদের মধ্যে অন্তত ৩৪ জন বিভিন্ন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও হত্যা মামলার আসামি। এর মধ্যে ১৭টি ওয়ার্ডে শামীম ওসমানের অনুসারী বা অনুগত হিসেবে পরিচিতরা কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন। তাঁদের বড় অংশ আবার সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রার্থী। এ ধরনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীরা কেন্দ্র দখল বা জবরদস্তির ঘটনা ঘটালে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন আইভী। এতে সরকারদলীয় মেয়র প্রার্থী হিসেবে আইভীর ভাবমূর্তি নষ্ট হবে, অন্যদিকে মেয়র পদের ব্যালট নিয়ে ভিন্ন কারসাজি করা হতে পারে। এই আশঙ্কার কথা কেন্দ্রীয় একাধিক নেতাও প্রথম আলোকে বলেছেন।
আইভী নিজেও কেন্দ্র দখলের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, কেন্দ্র দখল হতেও পারে। যেহেতু অনেক বেশি কাউন্সিলর প্রার্থী, সে ক্ষেত্রে নানা শঙ্কা থাকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করলে এবং কঠোর হলে শঙ্কা কেটে যাবে।
সিদ্ধিরগঞ্জ ওসি প্রসঙ্গে আইভী বলেন, ‘অবশ্যই আমি চাই সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসিকে পরিবর্তন করা হোক। তা ছাড়া এখানে পুলিশ প্রশাসন যেন নিরপেক্ষভাবে কাজ করে সেই দাবি জানাব।’
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে মেয়র পদে সেলিনা হায়াৎ আইভীর কাছে বিপুল ভোটে হেরেছিলেন শামীম ওসমান। ওই নির্বাচনে শামীম ওসমান ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। আর আইভী নির্বাচন করেন নাগরিক সমাজের ব্যানারে। এই দুজনের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য। এবার আইভী দলের মনোনয়ন পান। শামীম ওসমানের অনুসারী স্থানীয় নেতারা শুরুতে এর বিরোধিতা করেন। পরে অবশ্য শামীম ওসমান সংবাদ সম্মেলন করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দেন। তাঁর এই ঘোষণায় আস্থা নেই আইভীর সমর্থকদের। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগও এ নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে।