Connecting You with the Truth


রংপুর প্রতিনিধি:

২০১৬ সালের ১৪ই মার্চ নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে মানবতার কল্যাণে নিবেদিত সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদের এমামের বাড়িতে ভয়াবহ হামলা চালানো হয় এতে দুজন কর্মীকে জবাই করে হত্যা করা হয় এবং শতাধিক নারী পুরুষকে অঙ্গহানি মারাত্মকভাবে জখম করা হয়।
এই বর্বরোচিত হামলা পরবর্তী তিন বছরের ঘটনাপ্রবাহ ও বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে ৫দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে রংপুর জেলা শাখা হেযবুত তওহীদ।
শুক্রবার সকাল ১০টায় রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবে জোড়া খুনের দ্রুত বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে হেযবুত তওহীদ রংপুর জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস শামীম।
এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম উখবাহ।
মূল বক্তব্যে বলা হয়, তিন বছর আগে সোনাইমুড়িতে স্থানীয় দাঙ্গা সৃষ্টিকারী আলেমরা নিকটবর্তী এলাকার বিভিন্ন 
মাদ্রাসা থেকে তাদের ছাত্রদেরকে নিয়ে হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমামের বাড়িতে আক্রমণ করে। ধর্মব্যবসায়ীরা 
প্রোপাগান্ডা চালায় যে, ‘হেযবুত তওহীদ খ্রিষ্টান, তারা গির্জা নির্মাণ করছে’। তারা সকাল থেকে স্থানীয় কয়েকটি 
মসজিদের মাইকে বলতে থাকে যে, ‘গির্জা ভাঙ্গো খ্রিস্টান মারো।’ তাদের উসকানিতে স্থানীয় জামায়াত, শিবির, 
ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের সন্ত্রাসীরাসহ মাদ্রাসার উন্মত্ত ছাত্র-শিক্ষকগণ নির্মাণাধীন মসজিদটিকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। উপস্থিত হেযবুত তওহীদের প্রত্যেকে মারাত্মকভাবে আহত করে। সন্ত্রাসীরা মো. সোলায়মান খোকন ও ইব্রাহীম রুবেল নামে হেযবুত তওহীদের দুজন সদস্যকে জবাই করে, চোখ উপড়ে, হাত পায়ের রগ কেটে নির্মমভাবে হত্যা 
করে। এক পর্যায়ে পেট্রল ঢেলে লাশের গায়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। যখন পুলিশ আহত অবরুদ্ধ মরণাপন্ন হেযবুত 
তওহীদের কর্মীদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়িতে তোলে তখন তাদেরকে গাড়ি থেকে নামিয়ে 
হত্যা করার জন্য গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশ ও বিডিআর বাহিনীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীরা হামলা চালাতে থাকে।
হেযবুত তওহীদের অভিযোগ, এই ঘটনায় তারা আক্রান্ত হলেও আক্রমণকারীদের সাথে তাদেরকেও মামলার আসামি 
করেছে পুলিশ। হামলাকারীদের মধ্যে অনেকেই প্রকাশ্যে দাপটের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট 
থাকলেও পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করছে না। এই সন্ত্রাসীরা আবারও হামলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। 
সংবাদ সম্মেলনে হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে সোনাইমুড়ী হত্যাকারে সাথে জড়িত সমস্ত সন্ত্রাসীদেরকে দ্রুত 
গ্রেফতার ও বিচারের দাবি করা হয়। সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হেযবুত তওহীদের সদস্যদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের 
দাবি জানানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, হেযবুত তওহীদ রংপুর জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান বাবু, আন্তঃধর্মীয় যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল ওহাব মিন্টু, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ রুবেল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মোয়াজ্জেম আক্তার লিমা সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।


Comments
Loading...