জানা গেছে, লেংগা খালের উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওইসব এলাকার সর্বস্তরের মানুষ অতিকষ্টে এবং ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় যাতায়াত করে আসছিল। স্থানীয় সাংসদ মঞ্জুরুল ইসলামের উদ্যোগে প্রায় ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সেই সাঁকো স্থানান্তর করে সেখানে নির্মাণ করা হয়েছে একটি সেতু। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৯৬ ফুট ও প্রস্থ ৬ ফুট। শুধু তাই নয়, ওই সেতুতে রাতে পারাপারের সুবিধার জন্য সেতুতে বসানো হয়েছে সৌর বিদ্যুৎ। সেতু নির্মাণে সময় লাগে প্রায় দুই বছর। সেতুটির উদ্বোধন করেন সুন্দরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এব্যাপারে তিনি বলেন, বিশেষ টিআর (টেষ্ট রিলিফ) ও কাবিখা (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) প্রকল্পের কাজ শতভাগ হয়না। এই কাজ করতে গিয়ে আমাদের সুনাম ক্ষুন্ন হয়, অনেক প্রশ্ন উঠে। তাই নিজস্ব তহবিল, বিশেষ টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের টাকা দিয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। কারণ টিআর দিয়ে সড়কে মাটির কাজে সরকারের অপচয় হয়। কিন্তু এটি দৃশ্যমান ও স্থায়ী।
ওই সেতুটি নির্মাণ করার ফলে পুর্বরাজিবপুর, মন্ডলেরহাট ও মাঠেরহাট গ্রামের মানুষ ১৫ কি.মি. ঘুরে ধোপাডাঙ্গা বাজার থেকে জেলা শহরে এবং উপজেলা সদরে যাতায়াত করতো। বিশেষ করে স্কুলগামি ছাত্রছাত্রীদের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় যাতায়াত করতে হতো। আগে কোন যানবাহন চলাচল করতো না বলে মালামাল পরিবহনও বিঘ্নিত হতো। অথচ এখন সহজেই রিকশা-ভ্যান, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল নিয়ে চলাচল করা যাবে।