নাইজেরিয়ায় ৭০ জনকে গলা কেটে হত্যা করল বোকো হারাম
নাইজেরিয়ার দামাসাক টাউন ছেড়ে পালানোর আগে অন্ততপক্ষে ৭০ জনকে হত্যা করে একটি সেতুর নিচে ফেলে রেখে গেছে বোকো হারাম জঙ্গিরা। নিহতদের অনেকেরই গলা কাটা অবস্থায় দেখেছেন বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একজন প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক। এদের মধ্যে অন্ততপক্ষে একজনের শিরশ্ছেদ করা ছিল। গেল শনিবার শহরটি বোকো হারামের দখলমুক্ত করে নাইজার ও চাদের সেনাবাহিনী। ২০১৪ সালের নভেম্বরে শহরটি দখল করে নিয়েছিল জঙ্গিগোষ্ঠীটি। শহরটি থেকে বের হওয়ার একটি প্রধান সড়কের কংক্রিট সেতুর নিচে লাশগুলো ফেলে রাখা হয়েছিল। জায়গাটি বোকো হারামের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার স্থান ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরুভূমির মতো শুষ্ক বাতাসের কারণে লাশগুলো আংশিকভাবে মমি হয়ে গিয়েছিল। লাশগুলোকে ঘিরে গজিয়ে ওঠা ঘাসের কারণে খুনগুলো বেশ কিছুদিন আগে করা হয়েছে বলে ধারণা করা যাচ্ছিল। নাইজেরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলে একটি ইসলামিক রাষ্ট্র কায়েম করতে চায় বোকো হারাম। এ লক্ষ্যে ছয় বছর ধরে চলা বিদ্রোহী লড়াইয়ে কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করেছে জঙ্গিগোষ্ঠীটি। এই গোষ্ঠীকে নির্মূল করতে নাইজেরিয়া, নাইজার, চাদ ও ক্যামেরুনের সেনাবাহিনী মিলে আফ্রিকান ইউনিয়নের তত্ত্বাবধানে যৌথ অভিযানে নেমেছে। ওই অভিযানের অংশ হিসেবেই দামাসাক মুক্ত করে নাইজার ও চাদের যৌথ বাহিনী। বৃহস্পতিবার এসব লাশ আবিষ্কার হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাদের সেনারা। তারা অন্ততপক্ষে ১০০টি লাশ আছে দাবি করলেও রয়টার্সের সাংবাদিক গুণে ৭০টি লাশ পেয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শহরটির ইমামের লাশও আছে। তাদের অন্য কোথাও হত্যা করে এখানে এনে ফেলা হয়েছে- কালো হয়ে যাওয়া রক্তের দাগ দেখে এমনটিই মনে করা হচ্ছে। শহরটির অন্যান্য অংশ থেকে পচা লাশের গন্ধ ভেসে আসায় এখানে আরো লাশ আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।