শৈলকুপায় একই সময়ে একই কক্ষে দুই শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীর পাঠদান
মনিরুজ্জামান সুমন, ঝিনাইদহ : বিদ্যালয় ভবন জরাজীর্ন হওয়ার কারণে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ১১০ নং গোলক নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একই সময়ে একই কক্ষে দুই শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী বসিয়ে চলছে পাঠদান কার্যক্রম।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চার কক্ষ বিশিষ্ট বিদ্যালয় ভবনটির একটি কক্ষ টিন শেডের এবং বাকি তিনটি ছাদ নির্মিত। টিন শেড নির্মিত কক্ষটি একেবারেই জরাজীর্ন হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে কক্ষটি পাঠদানের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যার কারণে কক্ষটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি তিনটি কক্ষের একটি শিক্ষকদের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে, যেখানে বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ন কাগজপত্র এবং আলমারি রাখা হয়েছে। অন্য দুইটি কক্ষের একটিতে ১ম শিফটে একই সময়ে প্রাক প্রাথমিক শ্রেণি ও প্রথম শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রম চলে। এবং অন্য কক্ষটিতে ২য় শ্রেণির পাঠদান করা হয়। ২য় শিফটে একই সময়ে একই কক্ষে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রম চলে। এবং অন্য কক্ষটিতে ৫ম শ্রেণির পাঠদান করা হয়। পরিদর্শন কালে আরো দেখা যায়, বিদ্যালয় ভবনটির দেয়ালের অনেক স্থানের প্লাস্টার খসে পড়েছে এবং ছাদের অনেক জায়গা দিয়ে বৃষ্টির সময় চুইয়ে চুইয়ে পানি পড়ে।
সহকারি শিক্ষক আমির উদ্দিন আনছারি ও রওশন আরা জানান, একই কক্ষে একই সময়ে দুই শ্রেণির পাঠদান করানো খুবই ঝামেলপূর্ন । কোন উপায় না থাকাতে আমরা এটা করতে বাধ্য হচ্ছি। এতে করে ছাত্র-ছাত্রীরা শ্রেণী কক্ষে অমনোযোগী হয়ে পড়ছে।
১১০ নং গোলক নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসানুজ্জামান ক্ষোভ ও দুঃখের সাথে জানান, উপজেলার অনেক বিদ্যালয়ে ব্যবহার উপযোগী ভাল ভবন থাকা সত্বেও নতুন ভবন নির্মাণ হয়েছে। যা তাদের প্রয়োজন নেই বল্লেও চলে। কিন্তু এরূপ জরাজীর্ন ভবন মেরামত বা নতুন ভবন নির্মানের জন্য উপর মহলে বার বার আবেদন করার সত্বেও নতুন ভবন নির্মান বা জরাজীর্ন ভবন মেরামাত জন্য কোন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।
তিনি আরো জানান, উপজেলার অনেক বিদ্যালয়ে ভাল ভবন মেরামতের জন্য প্রতিবছর বরাদ্দ পেয়ে থাকে। যা তাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত।
এ বিষয়ে এলজিআরডি অফিসে যোগাযাগ করে জানা যায় এবছর উপজেলার ১৩ বিদ্যালয় নতুন ভবনের অনুমোদন পেলেও এই বিদ্যালয় কোন বরাদ্দ পায়নি।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/এ