Connect with us

কুড়িগ্রাম

কাঠফাটা রোদ ও প্রচন্ড তাপদাহে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন

Published

on

শাহ্ আলম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : গত ১ সপ্তাহ ধরে কাঠফাটা রোদ ও প্রচন্ড তাপদাহে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জন-জীবন। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘর হতে বের হচ্ছে না কেউ। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শহর ও গ্রামাঞ্চলের বাজার গুলোতে লোক সমাগম কমে গেছে। ফলে বেঁচা-কেনা কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। রাস্তা-ঘাট গুলো ফাঁকা খাকছে দিনের বেশির ভাগ সময়।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আলী জানান, গত ১২ ঘন্টায় রংপুর অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অবস্থা আরো দু-একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
কুড়িগ্রাম পৌরবাজারের ব্যবসায়ী মনছুর আলী জানান, গত এক সপ্তাহ থেকে শহরে লোক সমাগম কমে গেছে ফলে বেঁচা কেনাও হচ্ছে না। প্রতিদিনের ২০ হাজার টাকা বিক্রি নেমে এসেছে ৫ হাজার টাকায়।

কুড়িগ্রাম জেলা শহরের রিকসা চালক আলম মিয়া জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাত্র ২০ টাকার ভাড়া মেরেছি। শহরে লোকজন কমে গেছে। তাছাড়া প্রচন্ড রোদেও বের হওয়া যায় না। রিকসা নিয়ে গাছের নীচে বসে আছি।

প্রচন্ড তাপদাহে মাঠে যেতে না পারায় বিপাকে পড়েছে কৃষকরা। আমনের চারা রোপনের ভরা মৌসুমে শ্রমিকরা মাঠে যেতে পারছে না। কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার কৃষক শমসের আলী জানান, কষ্ট করে চারা রোপনের জন্য জমি তৈরি করলেও শ্রমিকরা অতিরিক্ত গরমের কারনে জমিতে যেতে পারছে না। এ অবস্থায় চারা রোপনে বিলম্ব ঘটছে।

এব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, গত কয়েক দিন থেকে তাপমাত্রা বেড়ে গেলেও হাসপাতালে গরম জনিত রোগে আক্রান্ত রোগী একখও আসেনি। তবে তাপমাত্রার এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়তে পারে। আমরা অতিরিক্ত গরমে লোকজনকে ঠান্ডা ও খোলা জায়গায় থাকার পরামর্শ দিচ্ছি। পাশাপাশি শিশু ও বৃদ্ধদেরকে বেশি করে পানি ও তরল খাবার খাওয়ানোর কথা বলছি। এছাড়াও গরমে শরীর দুর্বল ও মাথা ব্যাথাসহ কোন প্রকার অসুস্থতা অনুভব করলে তৎক্ষনাৎ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।

বাংলাদেশেরপত্র/এডি/এ

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *