আবু সাঈদ নিহত হওয়ার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শনিবার (৩ আগস্ট) রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশি সদস্য হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) আমীর হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র।
তিনি বলেন, ‘অপেশাদার আচরণ, শৃঙ্খলা পরিপন্থী, কর্তব্যে অবহেলা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির রিপোর্টে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ’
তিনি জানান, এর আগে আবু সাঈদের মৃত্যু বিক্ষোভকারীদের ছোড়া গুলি ও ইটপাটকেলের আঘাতে হয়েছে বলে দাবি করে পুলিশ। মামলার এজাহারে এ তথ্য দিয়েছে তারা। তবে এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তাতে কোনো পুলিশ সদস্যের দায় পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর এ জন্য ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে বলছে তারা।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আইন মোতাবেক আবু সাঈদের মৃত্যুর সুরতহাল প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি। এটা পেলে হয়তো মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানা যাবে। তদন্ত চলছে, তদন্তপ্রক্রিয়া শেষ হলেই পুরা বিষয়টি পরিষ্কার হবে। ’
গত ১৬ জুলাই পুলিশ ও কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে রাবার বুলেটের আঘাতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। এর পর থেকেই নতুন মাত্রা পায় কোটাবিরোধী আন্দোলন। সন্ধ্যার পরপরই দুঃখ ও শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় বিশ্বিবদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।