Connect with us

জাতীয়

হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর উত্তরায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

Avatar photo

Published

on

Uttara Hezbuttawheed Jonosova 19 02 2016 (2)

বক্তব্য রাখছেন হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম।

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর উত্তরায় হেযবুত তওহীদের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রাষ্ট্রে পরিণত করার নানামূখী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ‘’সন্ত্রাস দমনে জনসম্পৃক্ততার বিকল্প নেই’’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় ঢাকার উত্তরা ১৪ নং সেক্টরের কল্যাণ সমিতির মাঠে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ও মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলে হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম।

মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম বলেন, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ হিসাবে আমাদের কিছু দায়িত্ব রয়েছে। পশুর ন্যায় শুধু খাওয়া আর বংশবৃদ্ধি করলে চলবে না। শুধু নিজেকে নিয়ে, নিজের পরিবারকে নিয়ে ভাবলেই চলবে না, আমাদেরকে অবশ্যই সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্বকে নিয়ে ভাবতে হবে। এ সমাজকে শান্তিময় করার জন্যই আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর রুহ থেকে ফুঁকে দিয়ে তাঁর খলিফা হিসাবে এ পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। আমরা যেন ভালো-মন্দ দেখতে পারি, শুনতে পারি অত:পর চিন্তা করে উত্তম সিদ্ধান্ত নিতে পারি সে জন্যই আল্লাহ আমাদের চোখ, কান ও মস্তিষ্ক দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদেরকে জানতে হবে বর্তমান পৃথিবী মহাযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে যে জঙ্গিবাদকে ইস্যু করে সেই জঙ্গিবাদের উৎস কোথায়, কারা এর জন্ম দিল, কেন জন্ম দিল। আসলে বিশ্বের পরাশক্তিধর রাষ্ট্রগুলোই এই জঙ্গিবাদের জন্ম দিয়েছে। আফগান যুদ্ধের সময় আমেরিকা মুসলমানদেরকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিজেদের পক্ষে কাজে লাগানোর জন্য এই জঙ্গিবাদের সৃষ্টি করে। ধর্মবিশ্বাসী সাধারণ মুসলমানদেরকে ধর্মীয় অপব্যাখ্যা দ্বারা জেহাদের নামে জঙ্গিবাদে আকৃষ্ট করে। সেখান থেকেই বর্তমান জঙ্গিবাদের উদ্ভব এবং বিশ্বব্যাপী তার বিস্তার। এই যে মানুষের ঈমানকে ভুল খাতে প্রবাহিত করে জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটানো হলো এর প্রধান কারণ হলো এই ধর্মবিশ্বাসী মানুষের ইসলাম সম্পর্কে সঠিক আকিদা না থাকা। সাধারণ মানুষ যদি ইসলামের সঠিক আকিদা জানত তবে আর কেউ তাদের ধর্মবিশ্বাসকে ভুল পথে ব্যবহার করতে পারতো না।

একটা বিষয় বুঝতে হবে যে, আকিদা বিহীন ঈমানের কোনো দাম নেই আর ঈমান বিহীন আমলেরও কোনো মূল্য নেই। ইসলামের সঠিক আকিদা হলো ইসলাম সম্পর্কে সঠিক ও সম্যক ধারণা। ইসলাম আসলে কেন এসেছে, এর উদ্দেশ্য কী, রসুলাল্লাহ কেন উম্মতে মোহাম্মদী নামক জাতি গঠন করে গেলেন ইত্যাদি বিষয় আমাদেরকে বুঝতে হবে। ইসলাম শব্দের অর্থ হলো শান্তি। সমগ্র পৃথিবী থেকে সমস্ত অন্যায়, অবিচার, অশান্তি দূর করে ন্যায়, সুবিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই ইসলামের আগমন। ইসলাম অশান্তিপূর্ণ সমাজকে শান্তিপূর্ণ করে। আর ঈমানের মূল বিষয় হলো কলেমা- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ ‘আল্লাহর হুকুম ছাড়া অন্য কিছু না মানা’ এর উপর বিশ্বাস স্থাপন করা এবং আমল হলো সালাহ (নামাজ), যাকাত, হজ্ব, সওম (রোজা) ইত্যাদি এক কথায় সেই সমস্ত কাজ যা মানুষের কল্যাণ করে, সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে তা সবই আমল। কিন্তু নিজের জীবন-সম্পদ উৎসর্গ করে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা না করলে কারও আমলই কবুল হবে না।

আজ পৃথিবীময় আমল হচ্ছে কিন্তু ইসলাম সম্পর্কে সঠিক আকিদা না থাকার কারণে ইমান ও আমল সবই অর্থহীন হয়ে যাচ্ছে। আসন্ন সঙ্কট থেকে আজ দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হলে আমাদের সকলকে উদ্যোগী হয়ে ইস্পাতকঠিন ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কারণ এটি একদিকে আমাদের ঈমানী দায়িত্ব অপরদিকে সামাজিক কর্তব্য। আমরা যারা ধর্মে বিশ্বাস করি তাদেরকে বুঝতে হবে মানুষের শান্তির জন্য কাজ করাই হলো প্রধান ইবাদত। কাজেই মানুষ যখন কষ্টে থাকে, সমাজ যখন অন্যায়-অবিচারে পূর্ণ হয়ে যায় তখন প্রধান ঈমানী দায়িত্বই হয়ে পড়ে মানুষের কষ্ট লাঘব করা ও সমাজ থেকে অন্যায়-অবিচার দূর করা। অপরদিকে এই সমাজে বসবাসকারী প্রত্যেকের সামাজিক কর্তব্য হলো সমাজের শান্তি নিশ্চিত করা, ধ্বংসের হাত থেকে সমাজকে বাঁচানো। এই কথা সবাইকে উপলব্ধি করতে হবে যে, আমার সমাজ, আমার দেশ যদি ধ্বংস হয়ে যায় তবে আমিও বাঁচব না, আমাদের কারোরই কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।

বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে তিনি দেশবাসীর প্রতি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ধর্মব্যবসায়ীদের দ্বারা প্রচারিত ধর্মের অপব্যাখ্যা থেকে বের হয়ে আমদের ধর্মের প্রকৃত চেতনা দ্বারা জাতিকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তবেই চলমান ষড়যন্ত্র থেকে দেশকে বাঁচানো সম্ভব হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

Uttara Hezbuttawheed Jonosova 19 02 2016 (8)1অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ

হেযবুত তওহীদের আমির মো. মসীহ উর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশেরপত্র ডটকমের নির্বাহী সম্পাদক ও হেযবুত তওহীদের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মো. রিয়াদুল হাসান, দৈনিক বজ্রশক্তির প্রকাশক ও সম্পাদক এস এম সামসুল হুদা, জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. বরকত খান, ৪৯ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি মো. ইয়াহহিয়া মাহমুদ, কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহম্মেদ, মতিঝিল থানা শ্রমিক লীগের কার্যনির্বাহী সভাপতি আবুল কালাম আজাদপ্রমুখ।

Uttara Hezbuttawheed Jonosova 19 02 2016 (6)অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাধারন জনগণ।

এছাড়াও প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকর্মীসহ সর্বস্তরের সাধারন জনগণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন। অনুষ্ঠানে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে সহযোগিতা করে দৈনিক বজ্রশক্তি, জেটিভি অনলাইন ও বাংলাদেশেরপত্র ডটকম।

       টিভি নিউজ:

TV News

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

ফরিদপুরে হেযবুত তওহীদের নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

Avatar photo

Published

on

“জড়তা, অন্ধত্ব, সংকীর্ণতা, ধর্মব্যবসা, বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে নারীকেই জাগতে হবে, জাগাতে হবে” শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ফরিদপুর জেলা হেযবুত তওহীদ।

রবিবার সকাল ১০ টায় ফরিদপুর সদর, ঝিলটুলি, অম্বিকা মেমোরিয়াল হলরুমে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বরিশাল মহানগর নারী বিষয়ক সম্পাদক অনামিকা হক এর সঞ্চালনায় ও ফরিদপুর জেলা নারী সম্পাদক সুস্মিতা জামান এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় নারী সম্পাদক রূফায়দাহ পন্নী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফরিদপুর পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা আসনের ১৫,২০,২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ফরিদপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও টি এন সি সি এর সদস্য নাহার যুবায়ের কণা, হেযবুত তওহীদের বরিশাল বিভাগীয় আমির মোঃ আল আমিন সবুজ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব মিয়া, হেযবুত তওহীদের বরিশাল বিভাগীয় নারী সম্পাদক আসমা আক্তার, হেযবুত তওহীদের ঢাকা বিভাগীয় নারী সম্পাদক তাসলিমা ইসলাম এবং ফরিদপুর জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি মাহবুবুল আলম নিক্কন প্রমূখ।

প্রধান অতিথি বলেন, নারীরা একটি জাতির অর্ধেক জনসংখ্যা। সেই নারীদেরকে পশ্চাৎপদ রেখে জাতির উন্নতি, প্রগতি সম্ভব নয়। জাতির কাক্সিক্ষত উন্নতি পেতে হলে নারীদেরকে যথাযথ যোগ্যতা ও মেধানুযায়ী সমাজে সকল ক্ষেত্রে অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে হবে। উগ্রবাদ, ধর্মব্যবসা,অপরাজনীতি, হুজুগ, গুজব, ধর্মান্ধতা, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাসহ সকল অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা ও আদর্শ মানবজাতির কাছে তুলে ধরে আসছে হেযবুত তওহীদ। আর এ মহান কাজে পুরুষদের পাশাপাশি হেযবুত তওহীদের নারীরাও নিজেদের যোগ্যতা ও মেধা অনুযায়ী অংশগ্রহণ করে নিঃস্বার্থভাবে দেশ ও জাতির কল্যানে অবদান রেখে যাচ্ছে। হেযবুত তওহীদের নারীদেরকে মনে রাখতে হবে, ধর্মের নামে যাবতীয় জড়তা, অন্ধত্ব, সংকীর্ণতা, ধর্মব্যবসা, বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে নারীকেই জাগতে হবে, জাগাতে হবে।

Continue Reading

Highlights

রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ থেকে জাতিকে নিরাপদ রাখার শপথ কুমিল্লা হেযবুত তওহীদের

Avatar photo

Published

on

‘রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ থেকে জাতিকে নিরাপদ রাখতে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা করেছে অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদের কুমিল্লা জেলা শাখা। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আগমন ফুড পার্ক এন্ড কমিউনিটি সেন্টারে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কুমিল্লা জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য প্রকৌশলী রাকীব আল হাসান। বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন।

সাবেক কুমিল্লা জেলা সভাপতি ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় এবং জেলা সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল কবির ও লাকসাম উপজেলা সভাপতি মো. সুজন, লালমাই উপজেলা সভাপতি আবু রায়হানসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা প্রকৌশলী রাকীব আল হাসান বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিদেশী শক্তির অপতৎপরতা বেড়েই চলছে। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র এই দেশে বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না। এ পর্যন্ত পশ্চিমা পরাশক্তি দেশগুলো ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া, লিবিয়াসহ যেসব দেশে হস্তক্ষেপ করেছে সবগুলো দেশকে তারা মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। আরেক দিকে রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতার লড়াই দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। কাজেই আমাদের যাবতীয় সহিংসতা ও বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ থেকে মাতৃভূমি বাংলাদেশকে নিরাপদ রাখার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ আলোচক নিজাম উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, যে কোনো সংকটের সমাধান ইসলাম দিয়েই সম্ভব কিন্তু ইসলামের সেই প্রকৃত রূপ কারও কাছে নেই। মহান আল্লাহ দয়া করে সেটা হেযবুত তওহীদকে দান করেছেন। আমরা প্রকৃত ইসলামের আদর্শ দিয়ে একটা নোয়াখালীতে একটা শান্তিপূর্ণ সমাজ নির্মাণ করে দেখিয়েছি। যে আদর্শ একটা ছোট্ট সমাজকে শান্তিপূর্ণ করতে পারে ইনশাআল্লাহ সেই আদর্শ দিয়ে শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ে তোলাও সম্ভব হবে। এই মহতী কাজে সকলকে আমরা সাথে চাই।

এরআগে এদিন সকালে অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মাওলানা জসিম উদ্দিন শাকিল। অনুষ্ঠানে লাকসাম উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে চাষীরহাট উন্নয়ন প্রকল্পের উপর একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

Continue Reading

Highlights

‘দেশের অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে উগ্রবাদের মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান’

Avatar photo

Published

on

স্টাফ রিপোর্টার:
দেশের অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে উগ্রবাদের মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হেযবুত তওহীদের শীর্ষ নেতা ও ইমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। শনিবার দিনব্যাপী ময়মনসিংহে টাউনহল মোড়স্থ এ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত হেযবুত তওহীদের ময়মনসিংহ বিভাগীয় কর্মী সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি। “বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও অস্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য উগ্রবাদ মোকাবেলায় করণীয় শীর্ষক” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এ কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করে ময়মনসিংহ জেলা হেযবুত তওহীদ।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় সভাপতি রহমত উল্লাহ রানার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হেযবুত তওহীদের শীর্ষনেতা হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় কমিটির নারী বিষয়ক সম্পাদক রুফায়দাহ পন্নী, ময়মনসিংহ বিভাগীয় নারী সম্পাদিকা রোজিনা আক্তার, ময়মনসিংহ জেলা সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান হাবিব, শেরপুর জেলা সভাপতি মোমিনুর রহমান পান্না, জামালপুর জেলা সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, নেত্রকোনা জেলা সভাপতি আব্দুল কায়ইয়ুম প্রমুখ।

ভায় হেযবুত তওহীদের ইমাম বাংলাদেশকে অস্থিতিশীলতা ও সাম্রাজ্যবাদীদের কড়াল থাবা থেকে কোটি বাঙ্গালীকে রক্ষার জন্য দল-মত-নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, চলমান রাজনৈতিক সংঘাতের সুযোগ নিয়ে সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তিধর রাষ্ট্রগুলো যারা সাম্রাজ্য বিস্তারের নেশায় মত্ত, তারা বাংলাদেশের মানচিত্র খাবলে খাওয়ার জন্য শকুনের মত থাবা বিস্তারের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে জাতিকে রক্ষা করার জন্য তিনি দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে একটি মহান আদর্শের ভিত্তিতে ইস্পাত কঠিন ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “বর্তমান সমাজ, অন্যায়-অশান্তি, মিথ্যা, প্রতারণা, মাদক ইত্যাদিতে পরিপূর্ণ। সমাজের এই অধঃপতনের মূল কারণ আল্লাহকে ইলাহ বা হুকুমদাতা হিসেবে না মানা। সমাজের এই দূরাবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হলে মানবজাতিকে আবার আল্লাহকে ইলাহ এর আসনে বসাতে হবে। এককভাবে এই কাজ কখনোই সম্ভব নয়। তাই ঐক্যবদ্ধভাবে এই কাজে অংশগ্রহণের জন্য সকলকে আহ্বান জানান।”

দেশের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য যারা দায়ী তাদের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, জাতিকে বাঁচাতে হলে অবিলম্বে কামড়াকামড়ির এই রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। কাঁদা ছোঁড়াছুড়ির এই রাজনীতি বন্ধ না হলে জাতির ধ্বংস অনিবার্য। বিশ্বজুড়ে চলমান এই ভোগবাদী শাসন ব্যবস্থা, বৈষম্যমূলক অর্থ ব্যবস্থার কড়া সমালোচনা করে বিশ্বময় চলমান যুদ্ধাবস্থা ও এর কারণে সৃষ্ট সঙ্কটময় পরিস্থিতির জন্য জাতিকে সতর্ক সচেনত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, লেবাসধারী এক শ্রেণির ভণ্ডআলেমদের স্বার্থবাদী উগ্র কর্মকাণ্ডের কারণে ইসলামের গায়ে আজ কালিমা লিপ্ত হয়েছে। আর এদের মুখোশ উন্মোচন করায় তারা হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে ওয়াজ মাহফিলে মিথ্যাচার, অপপ্রচার, প্রোপাগান্ডা চালিয়ে আসছে। তিনি উগ্রবাদী ধর্মব্যবসায়ীদের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে কোনো লাভ হবে না। হেযবুত তওহীদ সত্য নিয়ে এসেছে। মিথ্যার ধ্বংস এবার অনিবার্য। এসময় ধর্মব্যবসায়ীদের বিভিন্ন অপপ্রচারের কড়া জাবাব দেন হেযবুত তওহীদের এই নেতা।

ইসলামের স্বর্ণযুগে নারীদের অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, রসুলের যুগে নারীরা মসজিদ থেকে শুরু করে যুদ্ধের ময়দান পর্যন্ত গিয়েছেন। তারা শালীনতার সাথে সামাজিক, রাষ্ট্রীয় সকল কাজে অংশগ্রহণ করেছেন। পরবর্তীতে এক শ্রেণির ধর্মব্যবসায়ীরা ফতোয়াবাজি করে নারীদের ঘরবন্দী করেছে। ইসলাম নারীদের যে অধিকার মর্যাদা দিয়েছে তা হরণ করেছে। সকল মজলুম, অত্যাচারিত, নিপীড়িতদের প্রকৃত অধিকার ফিরিয়ে দিতে হেযবুত তওহীদের আগমন হয়েছে বলে মন্তব্য করেন এই বক্তা। এসময় তিনি সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এবং হেযবুত তওহীদের সদস্যদের আরও অগ্রগামী হওয়ার নির্দেশ দেন।

বিভাগীয় কর্মী সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, হেযবুত তওহীদের ময়মনসিংহ জেলা নারী সম্পাদিকা সাথী আক্তার পলি, নুসরাত জাহান পলি, পাপিয়া আক্তার, সুরমা আক্তারসহ জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ।

Continue Reading