কাউনিয়ার অটো চালক হত্যা মামলার মূল আসামীসহ গ্রেফতার ৬
আমিরুল ইসলাম,রংপুর: রংপুরের কাউনিয়ার চাঞ্চল্যকর অটো চালক আজিজুল হত্যা মামলার মূল আসামী জিল্লুর রহমানের পূত্র ফারুক সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে রংপুর পিবিআই। হত্যা কান্ডের রহস্য উন্মোচন হয়েছে বলে পিবিআই রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ কাওছার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। আজ (বুধবার) দুপুরে পিবিআই রংপুর কার্যালয়ে তিনি এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান,কাউনিয়ার হলদিবাড়ির এলাকার শহীদুল ইসলামের পুত্র অটো চালক আজিজুল ইসলামকে গলা কেটে হত্যার অপরাধে মূল আসামী হত্যাকারী ফারুক কে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানার নাঙ্গলমোড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। ফারুকের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যার সাথে জড়িত অপর ৫ আসামীকে রংপুরের কাউনিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন, সুরুজ্জামানের পূত্র মাজেদ (১৯), ওমর আলীর পুত্র বাবু (১৯), কাজিমুদ্দীনের পূত্র আসাদুল (২০), সুরুজ্জামানের পূত্র মোজাম্মেল (২২), ও খয়ের উদ্দীনের পূত্র জাহাঙ্গীর আলম (২৮)। এসময় তাদের কাছ থেকে হত্যা কান্ডে ব্যাবহারিত চাকু,অটো চালকের মোবাইল ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করে। আটককৃত আসামীরা কাউনিয়ার বিচারিক আদালতে হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লুৎফর রহমান।গ্রেফতারকৃত মুল পরকিল্পনাকারী এবং হত্যাকাণ্ডরে সাথে সরাসরি জড়তি আসামী ফারুক সহ অপর আসামী মাজদেকে অদ্য বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হব। মামলাটি র্বতমানে তদন্তাধীন আছে এবং এই হত্যাকাণ্ডরে সাথে আরো কারো সম্পৃক্ততা আছে কনিা তা ব্যাপকভাবে খতয়িে দখো হচ্ছে বলে সম্মেলনে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওসার।
উল্লেখ্য গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে আটো চালক আজিজুলকে হত্যা করে কাউনিয়ার শাহবাজ গ্রামের ঈদগাহ মাঠের পাশে পুকুরে কচুরিপানা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার পিতা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় হত্যাকারী ফারুক হোসেনের নাম উল্লেখ্য পূর্বক অজ্ঞাতনামায় মামলা দায়ের করেন। মামলা করার ১০ দিন পর পিবিআই আসামীদের গ্রেফতার করে হত্যার রহস্য এ উন্মোচন করে।
পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক লূৎফর রহমান জানান, মামলাটি পিবিআইয়ের শিডিউলভুক্ত একটি চাঞ্চল্যকর মামলা হওয়ায় পিবিআই হেডকোয়ার্টার্স এর অনুমতিক্রমে গত ৪ই অক্টোবর থেকে কাউনিয়ার থানা কতৃক হস্তান্তরের মাধ্যমে মামলার রহস্য উদঘাটনের তদন্তে নামে পিবিআই। ঐ হত্যাকান্ডের সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে পিবিআই রংপুর জেলা ঘটনাস্থলের ক্রাইমসিন পরিদর্শনপূর্বক বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে।