Connecting You with the Truth

কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও নির্বাচন হচ্ছে না, ক্ষুব্ধ বেনাপোল বন্দরের সদস্যরা

বেনাপোল সীমান্ত প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ স্থলবন্দর এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক কার্য নির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন না হওয়ায় বেনাপোল স্থল বন্দরে কর্মরত সদস্যরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। তারা প্রতিবাদ জানিয়ে বেনাপোল বন্দর এলাকায় সেঁটে দিয়েছেন পোস্টার, ব্যানার। চেয়েছেন অবিলম্বে নির্বাচন।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের প্রথম যাত্রা শুরু হয় ২০১২ সালে। রেজিস্ট্রেশন দেন যুগ্ম পরিচালক শ্রম অধিদপ্তর (জেডিএল)। যার রেজি. নং-২১৫৩। রেজিস্ট্রেশনের পর প্রথম এ ইউনিয়নের কার্য নির্বাহী কমিটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে দুটি প্যানেল অংশগ্রহণ করেন। তুহিন-জীবন পরিষদ এবং মেহেদী-বকুল পরিষদ। নির্বাচন হয় ১০ অক্টোবর-২০১২। এ নির্বাচনে ২১টি স্থল বন্দরে কর্মরত ১৮৫ জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করেন। সুষ্ঠু এ নির্বাচনে মেহেদী- বকুল পরিষদ জয়লাভ করেন এবং দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এ কমিটির মেয়াদ ১০ অক্টোবর-২০১৪ শেষ হলে কমিটি ৩ নভেম্বর-২০১৪ দায়িত্ব হস্তান্তর করেন নির্বাচন কমিশনারের নিকট। দায়িত্ব হস্তান্তরের পর ১৬ নভেম্বর-২০১৪ তারিখ আবার পূর্বের কার্য নির্বাহী কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক পত্রে পরবর্তী নির্বাচনের জন্য কামাল হোসেনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে সহকারী নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব দেয়া হয় রিপন চন্দ্র সোম এবং মুক্তি আহম্মেদ ভূঁইয়াকে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনার নানা অজুহাতে নির্বাচনের কোন পরিবেশ সৃষ্টি করছেন না এবং নির্বাচনের দিনক্ষণ না দেয়ার অভিযোগ এনে পোস্টার, ব্যানার প্রচার করছে সাধারণ সদস্যরা।
নির্বাচন কমিশনার কামাল হোসেন জানান, নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে নির্বাচন সংক্রান্ত চিঠি বাংলাদেশ স্থল বন্দরের চেয়ারম্যান এবং জেডিএল কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান ও জেডিএল কর্তৃপক্ষ নির্বাচন করার অনুমোতি দিয়েছেন। অতি শীঘ্রই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে তিনি অভিযোগ করে বলেন, মেহেদী-বকুল পরিষদের সভাপতি মেহেদী হোসেন সদস্যদের ভোটার তালিকা সরবরাহ না করায় নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা যাচ্ছে না। ফলে নির্বাচন বিলম্ব হচ্ছে। এদিকে মেহেদি-বকুল পরিষদের সভাপতি মেহেদী হোসেন জানান, নির্বাচন কমিশনার ভোটার তালিকা চাইছে কিন্তু এখনো পর্যন্ত ৬০-৭০ জন ভোটারের নামের তালিকা না হওয়ায় নির্বাচন কমিশনারকে ভোটার তালিকা সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। শীঘ্রই তা সরবরাহ করা হবে।

Comments
Loading...